অভিবাসন নীতির অনড় অবস্থান থেকে সরে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ এএম
নিজের অভিবাসন নীতির অনড় অবস্থান থেকে সরে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের মতে, বিদেশি শিক্ষার্থীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো এবং তারা আমেরিকার উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার আগের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন (এমএজিএ) অভিবাসন নীতি থেকে সরে এসে বলেন, যদি চীনসহ অন্য দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে অ্যামেরিকার অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামকে তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই না বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অর্ধেক শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হোক। এতে আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি সেটা ঘটতে দিতে পারি না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকা ভালো। আমি চাই বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো হোক।’
বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা—বিশেষ করে চীনের শিক্ষার্থীদের আমেরিকার প্রবেশে বাধা না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, এতে আমেরিকার উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার আর্থিক ক্ষতি হবে এবং কিছু কলেজ, বিশেষ করে ঐতিহাসিক কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমাদের চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর মানুষ আসে। আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশাল ব্যবস্থা আছে। যদি আমরা তাদের আসা অর্ধেক কমিয়ে দেই তবে হয়তো কিছু মানুষকে খুশি হবে, তবে এর বিপরীতে আমেরিকার অর্ধেক কলেজ ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ট্রিলিয়ন ডলার আয় করি। বেশিরভাগ বিদেশি দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা দ্বিগুণ টিউশন ফি দিয়ে থাকে। আমি চাই আমাদের স্কুল ব্যবস্থা সমৃদ্ধ হোক। আমি চাই বলে নয়, তবে আমি এটিকে ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি।’
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য তার দ্বিতীয় মেয়াদের অভিবাসন নীতির স্পষ্ট বিপরীত। তার প্রশাসন বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করেছে।
জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর, ট্রাম্প প্রশাসন হাজার হাজার ভিসা বাতিল করেছে, প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মকাণ্ডে যুক্ত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, এবং ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় কঠোর শর্ত আরোপ করেছে।