Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিস্ফোরণে দিল্লি রক্তাক্ত হতেই হাই অ্যালার্ট ইসলামাবাদে

ফের ‘সিঁদুর’ আতঙ্ক পাকিস্তানে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৬ এএম

বিস্ফোরণে দিল্লি রক্তাক্ত হতেই হাই অ্যালার্ট ইসলামাবাদে

ফের সিঁদুর আতঙ্ক পাকিস্তানে। জানা গেছে, দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরই পাক আকাশ সীমায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ইসলামাবাদ। আরও জানা গেছে, পাকিস্তানের স্থল, বায়ু এবং নৌসেনাকেও বিশেষ সতর্ক থাকতে বলেছে সেদেশের সরকার।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। সেই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। 

এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। তবে সংঘর্ষ বিরতিতে সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও অপারেশন সিঁদুর যে শেষ হয়নি, সেকথাও স্পষ্ট করে দেয় ভারত।

ভারতের এই অভিযানের পর প্রধানমন্ত্রী জানান, জঙ্গি হামলা যুদ্ধের শামিল। তবে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গিযোগের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, সেটাই দেখার। যদি এই বিস্ফোরণের ঘটনায় পাক-যোগ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভারত কি ফের একবার শুরু করবে অপারেশন সিঁদুর? এই প্রশ্নটিই এখন উঠতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যে ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ লালকেল্লা মেট্রোর ১ নম্বর গেটের পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে আচমকা বিস্ফোরণ হয়। তারপরই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যান্য গাড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। মেট্রোর সামনেই ছিল জৈন মন্দির এবং উমাশঙ্কর মন্দির। সন্ধ্যায় সেখানে বহু মানুষ এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, ব্যস্ত সময়ে মেট্রোর গেটের কাছেও বহু মানুষের জমায়েত ছিল। বিস্ফোরণের পরই গোটা এলাকায় হলস্থূল পড়ে য়ায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, দমকল এবং একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। কী কারণে বিস্ফোরণ হল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে নাশকতার দিকটি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার