মামদানির জয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ খুলছে যার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে অবিশ্বাস্য এক জয় পেয়েছেন জোহরান মামদানি। তার এই জয়কে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এই ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আরেক প্রগতিশীল নেতা আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ বা এওসি-র ভাগ্য খুলতে পারে। তার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতার পথ এতে সুগম হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক পাবলো ও’হানার মতে, মামদানির বিজয়ের মূল রহস্য ছিল ‘দ্রুত পরিবর্তনের অনুভূতি তৈরি করা’, যা সাধারণ ভোটাররা কথায় নয়, কাজে দেখতে চান। মার্কিন ভোটাররা এখন দল নয়, বাস্তব পরিবর্তনের সন্ধান করছেন।
২০২৪ সালের গ্রীষ্মে যখন জো বাইডেনের প্রথম বিতর্ক সম্প্রচারিত হচ্ছিল, তখন থেকেই ডেমোক্র্যাট শিবির বুঝতে পারে, তাদের মূল সমস্যা হলো ‘গতি’র অভাব। বাইডেন ও পরবর্তী প্রার্থী কমলা হ্যারিস অনেক কিছুই করেছেন, কিন্তু পরিবর্তনের প্রভাব ভোটারদের দৈনন্দিন জীবনে ততটা দৃশ্যমান হয়নি। ফলে হতাশ ভোটাররা বিকল্প হিসেবে আবারও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির দিকেই ঝুঁকছেন।
এ বাস্তবতায় মামদানির প্রচারণা ছিল নতুন ধরনের—‘ভাষণের’ চেয়ে ‘ফলাফলের’ রাজনীতি। তিনি ভাড়া, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত চুক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়েই তিনি বামঘরানার রাজনীতি আবার সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছেন।
ও’হানার মতে, অকাসিও-কর্টেজ যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামেন, তবে মামদানির প্রচারণা তার জন্য এক আদর্শ মডেল হতে পারে। তিনি তিনটি বিষয় মূল কৌশল হিসেবে তুলে ধরেছেন—
তাৎক্ষণিক ফলাফল: নির্বাচনের পর ছয় মাসের মধ্যে তিনটি বড় প্রতিশ্রুতির বাস্তব ফল দেখাতে হবে।
সুস্পষ্ট প্রতিপক্ষ নির্ধারণ: মামদানি যেমন বাড়িওয়ালা ও মূল্যবৃদ্ধিকারীদের দায়ী করেছেন, সেভাবে এওসি’কেও ‘খলনায়ক’ নির্ধারণ করে বাস্তব সমাধান দিতে হবে।
ও’হানা লিখেছেন, আজকের ভোটাররা প্রেমে পড়েন না, অধৈর্য হন। এওসি যদি ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তনের ছোঁয়া দিতে পারেন, তাহলে তার জন্য পথ প্রস্তুত।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট