মামদানি কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন জোহরান মামদানি। ৩৪ বছর বয়সে তিনি শুধু শহরের কনিষ্ঠতম মেয়রই হননি, মামদানিই প্রথম মুসলিম, আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যিনি এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টক্কর দিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে এই ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ কারণে মামদানিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবেও মনে করছেন অনেকে। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি। কারণ মামদানি কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
তার মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান।
সংবিধানে কী আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের প্রথম ধারার পঞ্চম দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না, যদি তিনি ‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ না হন, অথবা সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়ে থাকেন। পাশাপাশি তার বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে এবং অন্তত ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে।
‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ অর্থ জন্মের সময় থেকেই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া। এটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়াকে বোঝায়। কিন্তু বিদেশে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরাও যদি তাদের অভিভাবকদের (পিতা-মাতা) কমপক্ষে একজন মার্কিন নাগরিক হন এবং নির্দিষ্ট আইনি শর্ত (যেমন অভিভাবকের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সময়কাল) পূরণ হয়, তাহলে তারা ‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ হিসেবে বিবেচিত হন এবং প্রেসিডেন্টের জন্য যোগ্য থাকেন।
কেন মামদানি অযোগ্য?
জোহরান মামদানি মার্কিন সংবিধানের এই শর্ত পূরণ করেন না। তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় এবং ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন।
তার বাবা মাহমুদ মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত উগান্ডার অধ্যাপক, মা মীরা নায়ার ভারতীয়-মার্কিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা। তবে মা মীরা নায়ারের মার্কিন নাগরিকত্ব থাকলেও মামদানি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না। কারণ, মীরা নায়ার মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন ২০০৬ সালে। অর্থাৎ মামদানির জন্মের সময় তার মা মার্কিন নাগরিক ছিলেন না।
এ কারণে মার্কিন সংবিধান সংশোধন না হলে মামদানি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সর্বোচ্চ কোন পদে লড়তে পারবেন?
স্বাভাবিক নাগরিকত্ব পাওয়া মার্কিনিরা সর্বোচ্চ সিনেটর পদে প্রার্থী হতে পারেন। শর্ত হলো, সিনেটর পদে লড়তে কমপক্ষে নয় বছর নাগরিকত্ব, ন্যূনতম ৩০ বছর বয়স এবং নির্দিষ্ট রাজ্যে বসবাস করতে হবে।
আর হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রার্থী হতে কমপক্ষে সাত বছর নাগরিকত্ব, ২৫ বছর বয়স এবং নির্দিষ্ট জেলায় বসবাস করতে হবে।
সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান
তার মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান।
সংবিধানে কী আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের প্রথম ধারার পঞ্চম দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না, যদি তিনি ‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ না হন, অথবা সংবিধান গৃহীত হওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়ে থাকেন। পাশাপাশি তার বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর হতে হবে এবং অন্তত ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে।
‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ অর্থ জন্মের সময় থেকেই মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়া। এটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়াকে বোঝায়। কিন্তু বিদেশে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিরাও যদি তাদের অভিভাবকদের (পিতা-মাতা) কমপক্ষে একজন মার্কিন নাগরিক হন এবং নির্দিষ্ট আইনি শর্ত (যেমন অভিভাবকের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সময়কাল) পূরণ হয়, তাহলে তারা ‘ন্যাচারাল বর্ন সিটিজেন’ হিসেবে বিবেচিত হন এবং প্রেসিডেন্টের জন্য যোগ্য থাকেন।
কেন মামদানি অযোগ্য?
জোহরান মামদানি মার্কিন সংবিধানের এই শর্ত পূরণ করেন না। তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় এবং ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন।
তার বাবা মাহমুদ মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত উগান্ডার অধ্যাপক, মা মীরা নায়ার ভারতীয়-মার্কিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা। তবে মা মীরা নায়ারের মার্কিন নাগরিকত্ব থাকলেও মামদানি প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না। কারণ, মীরা নায়ার মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন ২০০৬ সালে। অর্থাৎ মামদানির জন্মের সময় তার মা মার্কিন নাগরিক ছিলেন না।
এ কারণে মার্কিন সংবিধান সংশোধন না হলে মামদানি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সর্বোচ্চ কোন পদে লড়তে পারবেন?
স্বাভাবিক নাগরিকত্ব পাওয়া মার্কিনিরা সর্বোচ্চ সিনেটর পদে প্রার্থী হতে পারেন। শর্ত হলো, সিনেটর পদে লড়তে কমপক্ষে নয় বছর নাগরিকত্ব, ন্যূনতম ৩০ বছর বয়স এবং নির্দিষ্ট রাজ্যে বসবাস করতে হবে।
আর হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রার্থী হতে কমপক্ষে সাত বছর নাগরিকত্ব, ২৫ বছর বয়স এবং নির্দিষ্ট জেলায় বসবাস করতে হবে।
সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান