Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মামদানির নতুন ঠিকানা, এক বেডরুমের ফ্ল্যাট নাকি বিলাসবহুল প্রাসাদ?

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ এএম

মামদানির নতুন ঠিকানা, এক বেডরুমের ফ্ল্যাট নাকি বিলাসবহুল প্রাসাদ?

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি এখন এক অদ্ভুত দোলাচলের মুখে। একদিকে অ্যাস্টোরিয়ার এক বেডরুমের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট, যেখানে তার সদ্য বিবাহিত জীবন কাটছে। অন্যদিকে, নিউইয়র্ক সিটির ২২৬ বছরের পুরনো, ঐতিহ্যবাহী ও বিলাসবহুল মেয়রের সরকারি বাসভবন- গ্রেসি ম্যানশন। তিনি কোথায় থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেননি।

তবে, একটি বিষয় স্পষ্ট- তার বর্তমান বাসস্থানের সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাসস্থানের তুলনাটা কেবল আকাশ-পাতাল নয়, এটি যেন নিউইয়র্কের দুটি ভিন্ন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

অ্যাস্টোরিয়ার ৮০০ বর্গফুটের বাস্তবতা : নিউইয়র্কের পরবর্তী নবনির্বাচিত মেয়র মামদানি ও তার স্ত্রী রামা দুয়াজি বর্তমানে অ্যাস্টোরিয়ায় প্রায় ৮০০ বর্গফুট আয়তনের একটি এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন। মামদানি ‘দ্য নিউইয়র্কার রেডিও আওয়ার’-এ স্বীকার করেছেন, এই অ্যাপার্টমেন্টটি এখন তাদের জন্য সামান্য ছোট হয়ে আসছে।

তাদের সাধারণ জীবনের একটি ছবি ফুটে ওঠে যখন মামদানি জানান, কীভাবে একদিন সকালে সিঙ্ক ফুটো হয়ে যাওয়ায় মেঝে তোয়ালে দিয়ে মুড়ে দিতে হয়েছিল। ১৯২৯ সালে নির্মিত এই পুরনো অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে যদিও নিউইয়র্কের আইন অনুযায়ী ভাড়াসহ উষ্ণতা এবং গরম জলের ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু লন্ড্রির জন্য ব্যবহার করতে হয় ভবনের সর্বসাধারণের কক্ষটি।

তবে অ্যাস্টোরিয়ার পুরনো বাড়িগুলোর মধ্যে তাদের বাড়িতে লিফট থাকাটা কিছুটা বিরল সুবিধা। অ্যাস্টোরিয়া মূলত তরুণ-যুবক ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সাশ্রয়ী আবাসন হিসেবে পরিচিত।

গ্রেসি ম্যানশন: ১১ হাজার বর্গফুটের রাজকীয়তা

অন্যদিকে, যদি মামদানি গ্রেসি ম্যানশনে স্থানান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তার আর কল বা পাইপ ফুটো হওয়ার দুশ্চিন্তা থাকবে না। আপার ইস্ট সাইডে অবস্থিত এই ম্যানশনটি এক সত্যিকারের প্রাসাদ- যার আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট।

ইস্ট রিভারের দৃশ্য দেখা যায় এর বারান্দা থেকে। ম্যানশনের ভেতরে রয়েছে ঝলমলে আয়না, ঝাড়বাতি এবং কৃত্রিম মেহগনি কাঠের দরজা। বাইরের বিশাল লনে আপেল ও ডুমুর গাছের সারি। আছে সবজির বাগান।

একটি রাজকীয় ফায়ারপ্লেসসহ বিনোদনের কক্ষ এবং প্যারিসের বাগানচিত্রসহ ওয়ালপেপারে সজ্জিত একটি বসার ও খাবার ঘরও আছে, যেখানে পূর্ণ-সময়ের একজন শেফ রান্না করা খাবার পরিবেশন করেন। আপার ইস্ট সাইড যদিও বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত জাদুঘর এবং বারগুলোর কেন্দ্র।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গ্রেসি ম্যানশন এক দুর্ভেদ্য কেল্লা। উঁচু বেড়া, ক্যামেরা এবং বাইরে পুলিশ কর্মকর্তার স্থায়ী প্রহরা এখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

কর্মস্থলই অগ্রাধিকার, বাসস্থান নয়

মাত্র ৩৪ বছর বয়সী মামদানি এখনও গ্রেসি ম্যানশনে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি কোথায় থাকব, তার উত্তর এখনও আমার কাছে নেই, তবে আমি বলতে পারি আমি কোথায় কাজ করব- আর তা হলো সিটি হল।

গাজায় বন্দি ইসরাইলি জিম্মির যৌন নির্যাতনের অভিযোগগাজায় বন্দি ইসরাইলি জিম্মির যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, কঠোর নিরাপত্তা এবং বড় সভার আয়োজন করার সুবিধাই অধিকাংশ মেয়রকে শেষ পর্যন্ত গ্রেসি ম্যানশন বেছে নিতে প্ররোচিত করে। মামদানির মতো একজন তরুণ রাজনীতিবিদ, যিনি তার কাজকে বাসস্থান নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার এই বাস্তবিক দিকটির কাছেই আত্মসমর্পণ করেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার