Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

আইসের আটক কেন্দ্র থেকে মুক্ত বাংলাদেশি নারী মাসুমা খান

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১২ এএম

আইসের আটক কেন্দ্র থেকে মুক্ত বাংলাদেশি নারী মাসুমা খান

এক মাস ধরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও কঠোর সংগ্রামের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশি নারী মাসুমা খান।

ক্যালিফোর্নিয়ার এক ফেডারেল বিচারকের নির্দেশের পর বুধবার রাতে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি পেয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যান ৬৪ বছর বয়সী এ নারী।

এর মধ্য দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা মাসুমা খানের পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বিচারক মাসুমা খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দেশ থেকে বিতাড়নের ওপরও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

এর ফলে অভিবাসন সংক্রান্ত মামলা চলাকালে অভিবাসন এজেন্টরা মাসুমাকে অ্যামেরিকা থেকে বিতাড়ন করতে পারবেন না।

যেভাবে আটক : প্রতি বছরের মতো ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে গিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আইসের হাতে আটক হন বাংলাদেশি নারী মাসুমা।

তিনি গত ৬ অক্টোবর থেকে ক্যালিফোর্নিয়া সিটি কারেকশনাল ফ্যাসিলিটিতে বন্দি ছিলেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ২৮ বছর ধরে বসবাসরত এ নারী হাঁপানি ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

এমন বাস্তবতায় মাসুমা খানের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্টেইটের ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা।

যেভাবে আমেরিকায় যান মাসুমা : মেয়ে রিয়া জানান, ১৯৯৭ সালে তার শৈশবকালে দাদির সঙ্গে আমেরিকায় বেড়াতে এসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দেখাশোনা করতে তার মা মাসুমা খানও এ দেশে আসেন। পরবর্তী সময়ে মাসুমা খানের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে উদ্যোগী হলে তাকে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়ে এক ব্যক্তির প্রতারণা করেন।

ওই ব্যক্তি অর্থ নিয়ে উধাও হয়ে যান অভিযোগ করে রিয়া বলেন, এর ফলে তার বাবা ইশতিয়াক আহমেদ খান আমেরিকার নাগরিক হলেও মা মাসুমা খানের আবেদনটি ঝুলে যায়।

‘এ জন্য উনি (অর্থ নেওয়া ব্যক্তি) ডিজঅ্যাপিয়ার হয়ে গেছে। তারপরে আর কোনো খবর নাই উনার। তো তারপরে কত বছর ধরে আমার আম্মু অনেক লইয়ারের কাছে গেল, কিন্তু সবাই বলছে যে, না, হেল্প করতে পারব না, কিন্তু যখন আমার আব্বু ফাইনালি ইউএস সিটিজেন হইল, তারপরে উনি পিটিশন করল আমার আম্মুকে ২০১৫-এ’, বলেন রিয়া।

‘তারপর যখন ওরা ইন্টারভিউতে গেল আমার আম্মুর গ্রিন কার্ডের জন্য, তখন ওরা বলল যে, তুমি এই লোককে চিনো? আমার আম্মু ওর আসল নাম হয়তো জানতো না। তারপরে জিজ্ঞেস করছে যে, এটাকে অন্য নাম দিয়ে নুরজাহান নাম ক্রিয়েট করে দিছে বা আমার আম্মুর কাছে পাসপোর্ট, ওগুলা কিছুই ছিল না। তো এজন্য বলল যে, আচ্ছা ডিনাই করি’, যোগ করেন মাসুমার মেয়ে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার