ডে-কেয়ার সেন্টার থেকে শিক্ষিকাকে টেনেহিঁচড়ে বের করল আইস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
শিকাগোর রায়িটো ডি সোল প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে বুধবারের সকালটা শুরু হয়েছিল বাকি দিনগুলোর মতোই স্বাভাবিকভাবে। শিক্ষকরা দিনের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তবে হঠাৎ ইউএস ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) হানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশুরা। মুখ ঢাকা কয়েকজন আইস এজেন্ট স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক শিক্ষার্থীর পিতা ঘটনাটির ভিডিও করেন যা ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি সামনে আসতেই সমালোচনার ঝড় বইছে আইসের এমন পদক্ষেপ নিয়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন আইস এজেন্ট চিৎকার করতে থাকা সেই নারী শিক্ষিকা ভবনের বাইরে টেনে বের করেছেন। যদিও তিনি বলছিলেন যে তার কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রের দাবি, আইস এজেন্টরা ডে কেয়ার সেন্টারকে লক্ষ্য করেনি। তারা কলম্বিয়া থেকে আসা ওই অবৈধ অভিবাসী নারীকে ধরার চেষ্টা করেছিল।
ভিডিওটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অ্যামেরিকান সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়। আইসের এমন পদক্ষেপে পুরো দেশে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। শিকাগোর স্থানীয় রাজনীতিবিদ ম্যাট মার্টিন এনবিসিকে বলেন, ‘আমার দায়িত্বকালীন সময়ে দেখা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভিডিওগুলোর মধ্যে এটি একটি। সেখানে সশস্ত্র এজেন্টরা শিক্ষকদের ও শিশুদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।’
এবছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতি কঠোর করেছেন। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অভিবাসীদের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং অপরাধী বিদেশি হিসেবে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছেন। আইস এজেন্টরা তাদের আক্রমণাত্মক কৌশল এবং স্বচ্ছতার অভাবের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।
অ্যামেরিকার সম্প্রচারক এনপিআরের একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে এ বছর আইস হেফাজতে কমপক্ষে ২০ জন মারা গেছেন, যা ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আটক অভিবাসীদের মোট সংখ্যাও প্রায় ৬০,০০০-এর নতুন সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছেছে।