আগামী তিন বছরে ১১ লাখের বেশি অভিবাসীকে পিআর দেবে কানাডা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ এএম
আগামী তিন বছরে ১১ লাখের বেশি মানুষকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কানাডা। অর্থনীতিতে অবদান রাখা দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিরাই এ সুযোগ পাবেন। তাছাড়া নতুন করে কাজের সুযোগ মিলবে প্রায় ৭ লাখ মানুষের। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষতা বাড়িয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে বাংলাদেশিদের।
সহসাই উন্মুক্ত হচ্ছে না কানাডায় উচ্চশিক্ষার পথ। গেলো বছরের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছরও নিম্নমুখী শিক্ষার্থী ভিসার হার। এমনকি আগামী তিন বছরও এ ধারা নিম্নমুখী রাখার পরিকল্পনা মার্ক কার্নি সরকারের।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে, ২০২৬ সালে ১ লাখ ৫৫ হাজার এবং ২০২৭ ও ২৮ সালে ১ লাখ ৫০ হাজার করে শিক্ষার্থী আনা হবে কানাডাতে। তবে এক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবেন অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডির শিক্ষার্থীরা।
গেলো বছর আবাসন সংকট আর চাকরির স্বল্পতার যে সমস্যা, তা নিরসনে টানা হয় শিক্ষার্থীদের লাগাম। এতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পড়ে লোকসানে।
আইআরবির রেগুলেটেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৬ এ ১ লাখ ৫৫ এবং তার পরবর্তী বছরগুলোতে ১ লাখ ৫০, টেম্পোরারি ফরেইন ওয়ার্কারদের জন্য তারা নির্ধারণ করেছে ২ লাখ ৩০, তার পরবর্তী বছরগুলোতে ২ লাখ ২০ করে। তার মানে সংখ্যাগুলো কিন্তু আগের চেয়ে বেশ কম।’
আসন্ন তিন বছর কানাডায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর অর্থাৎ স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন ১১ লাখ ৪০ হাজার। এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হবে যারা কানাডায় বসবাস করছেন, কাজ করছেন, ট্যাক্স দিচ্ছেন কেবল তাদেরকেই।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যারা হেল্থ ওয়ার্কার এবং কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, এ দুটি ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আছেন বা আসতে চাচ্ছেন, হয়তো তাদের জন্য একটি সুখবর। কারণ সরকার আগামী পাঁচ বছরে তাদের জন্য একটা বিশাল ফান্ড বরাদ্দ করেছে এবং বোঝা যাচ্ছে যে সরকার এ দুটি সেক্টরকে খুব বেশি প্রায়োরিটি দিতে চাচ্ছে।’
বর্তমানে কানাডায় বেকারত্বের হার ৭ শতাংশের ওপরে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক সংকটে আটকে গেছে মার্ক কার্নি সরকার, যা থেকে উত্তরণে বিনিয়োগ বাড়ানোয় নজর অটোয়ার। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতিকে শক্তিশালী না করলে অভিবাসন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে।