যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ এএম
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম–এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ অভিবাসীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৫ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে জোরপূর্বক ডিপোর্ট করা হয়েছে, আর ১৬ লাখ মানুষ স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন।
ডিএইচএসের সহকারী সচিব ট্রিশা ম্যাকলাফলিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন ইতিহাসের রেকর্ড ভাঙার পথে। এ বছরের শেষ নাগাদ মোট ডিপোর্টেশন সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি শুধু শুরু— প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সচিব নোম চার বছরের অচলাবস্থা ভেঙে আবারও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কার্যকরভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।”
তিনি জানান, ডিএইচএস, আইস ও সিবিপি এখন শুধুমাত্র সীমান্ত বন্ধ করছে না, বরং প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিশাল অগ্রগতি অর্জন করেছে। “আমাদের বার্তা স্পষ্ট— এখনই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন, না হলে আইনি পরিণতির মুখে পড়তে হবে,” বলেন ম্যাকলাফলিন।
ডিএইচএসের তথ্য অনুযায়ী, পানামার ডারিয়েন গ্যাপ হয়ে অভিবাসন ৯৯.৯৯ শতাংশ কমেছে। সংস্থাটি দাবি করছে, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির ফল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিনই আইস ও সিবিপি মার্কিন সমাজ থেকে বিপজ্জনক অপরাধী অভিবাসীদের সরিয়ে নিচ্ছে। আইসের মোট গ্রেপ্তারের ৭০ শতাংশই এমন অভিবাসী, যারা যুক্তরাষ্ট্রে হত্যা, ধর্ষণ, মাদকপাচার বা যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত।
ডিএইচএস জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীরা চাইলে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন। “সিবিপি হোম অ্যাপ” ব্যবহার করে আবেদন করলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের ১,০০০ ডলার নগদ অর্থ ও ফ্রি বিমান টিকিট দিচ্ছে।
ডিএইচএসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যারা স্বেচ্ছায় দেশ ছাড়বেন, তারা ভবিষ্যতে বৈধভাবে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন। কিন্তু যারা অবৈধভাবে থেকে যাবেন, তাদের গ্রেপ্তার ও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর অভিবাসন বাস্তবায়নের উদাহরণ হয়ে থাকবে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের নীতি অভিবাসীদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন এবং ভয় ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করছে।যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কার