চলতি বছর ইউরোপের দেশ জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে করা আবদনের সংখ্যা কমেছে৷ চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এক লাখেরও বেশি কমেছে৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে মোট ৯২ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী প্রথমবারের মতো জার্মানিতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন৷ তার আগের বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার ৯৪৭৷ সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথমবার আবেদনকারীর সংখ্যা এক লাখেরও বেশি কমেছে৷৷
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অভিবাসন বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ কাজ করছে৷’’
অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে নানা ধরনের পক্ষেপ নিচ্ছে জার্মান সরকার৷ গত নির্বাচনের আগে এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছিল দলগুলো৷ তারই ধারাবাহিকতায় চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বাধীন সরকার অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে আইনি পরিবর্তনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে৷ এরমধ্যে রয়েছে সীমান্তে কড়া নজরদারি আরোপসহ সীমান্তে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেয়া৷
সরকার জানিয়েছে, গত মে থেকে চলতি সময় পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৬০০ ব্যক্তিকে সীমান্তে থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা কমে আসার পেছনে বলকান দেশগুলোর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাছাড়া, সিরিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসাও এর আরেকটি কারণ বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, এক যুগেরও বেশি সময় পর জার্মানিতে বসবাসরত শরণার্থীর সংখ্যাও কিছুটা কমেছে৷ গত সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সরকারি তথ্য বলছে, ২০১১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো দেশটিতে বসবাসরত শরণার্থীর সংখ্যায় এই পরিবর্তন এসেছে৷
জার্মানির বামপন্থি দল ডি লিংকে-র এক সংসদীয় প্রশ্নের উত্তরে সরকার এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷ এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে শরণার্থীর সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার কমেছে৷ ২০২৪ সালের শেষে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ ৫০ হাজার, সংখ্যাটি কমে এখন হয়েছে ৩৫ লাখ৷
শরণার্থীর এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছে জার্মানিতে বিভিন্ন মর্যাদায় বসবাসের অনুমতি পাওয়া আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীরা৷ নতুন আসা আশ্রয়প্রার্থী থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে যারা দেশটিতে আছেন, তাদেরকেও রাখা হয়েছে এই তালিকায়৷ ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন৷