ক্ষণ ক্ষণে হবে উল্কার বৃষ্টি, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ এএম
আকাশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। রাতের আকাশে ঝরে পড়বে একের পর এক উল্কা। সারা রাত ধরে সে দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষ। শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা দুনিয়া থেকেই দেখা যাবে সেই দৃশ্য। আর সপ্তাহ দুয়েক পরে।
কবে কখন দেখা যাবে?
‘লিওনিড মেটিওর শাওয়ার’ বা উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে ভাল দেখা যাবে ১৬ নভেম্বর। ওই দিন রাত ১২টা থেকে ১৭ নভেম্বর ভোর ৩টা পর্যন্ত আকাশে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। ওই দিন ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ এক ফালি চাঁদ উঠবে। তার তিন দিন পরেই অমাবস্যা। সে কারণে চাঁদের জন্য উল্কাবৃষ্টি দেখতে কোনও সমস্যা হবে না। আকাশে তাকাতে হবে উত্তর গোলার্ধে সিংহরাশির (লিও কনস্টেলেশন) দিকে। সেখানেই দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি।
এই উল্কাপাত বা তারাখসার রাস্তা হবে দীর্ঘ। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাবে উল্কা। সেই সঙ্গে ধোঁয়া উঠবে। উল্কার রংও পাল্টে যাবে, যা পর্যবেক্ষকদের আগ্রহ তৈরি করবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টেম্পল–টাটল ধুমকেতুর লেজের ধ্বংসাবশেষই হল লিওনিড উল্কা। প্রতি ৩৩ বছর আগে টেম্পল–টাটল ধুমকেতুর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করত।
লিওনিড উল্কার ধরন অত্যন্ত উজ্জ্বল। গতি সেকেন্ড প্রতি ৭১ কিলোমিটার, যা তাদের সবচেয়ে দ্রুতগতি উল্কার স্থান দিয়েছে। ফলে প্রতি ঘণ্টায় মানুষরা ১৫–২০টি উল্কা দেখতে পারবেন আকাশে তাকালে।
এই উল্কার মধ্যে আছে ‘ফায়ারবল’ এবং ‘আর্থগেজার’ উল্কা। প্রথমটি আকারে অত্যন্ত বড়। এবং দ্বিতীয় ধরনটি সাধারণত দেখা যায় দিগন্তের কাছাকাছি। এগুলির লেজ রঙিন, লম্বা। সিংহ বা লিও ছায়াপথ থেকে উৎপত্তি হয়েছে এই উল্কার। তাই এই উল্কার নাম লিওনিড।
এর আগে, ১৯৯৮ সালে হয়েছিল উল্কাবৃষ্টি। এ বার বাড়তি পাওনা অন্ধকার আকাশ। এই অন্ধকার আকাশে আরও ভাল ভাবে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি।