মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা, থামলো স্বর্ণের ঊর্ধ্বগতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৮ এএম
পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলা স্বর্ণের দাম মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সামান্য কমেছে। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়া এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বগতি কিছুটা থামলো। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল ১২টা ৩৪ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ছিল আউন্স প্রতি চার হাজার ৩২৩ দশমিক ৬৯ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম। সোমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি চার হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলারে পৌঁছেছিল, যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার আরও কমার সম্ভাবনা ও নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধির আশায় লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছিল স্বর্ণের দাম।
কেসিএম ট্রেডের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, মুনাফা তোলা এবং নিরাপদ বিনিয়োগ প্রবাহ কমে যাওয়ায় আজ স্বর্ণের দাম সামান্য কমেছে।
এদিকে বরাহের জন্য মার্কিন গোল্ড ফিউচার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি চার হাজার ৩৪০ দশমিক ১০ ডলারে নেমে আসে।
এদিকে, স্পট সিলভারের দাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে আউন্স প্রতি ৫১ দশমিক ৫৪ ডলারে নেমেছে। প্লাটিনাম ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৬০৮ দশমিক ৩৫ ডলার এবং প্যালাডিয়াম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৮৩ দশমিক ১৪ ডলারে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, ডলার সূচক শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে।
সিএমই ফেড ওয়াচ টুল অনুযায়ী, বাজারে চলতি মাসে এক-চতুর্থাংশ পয়েন্ট সুদহার হ্রাস এবং ডিসেম্বরেও আরেক দফা কমানোর সম্ভাবনা পুরোপুরি মূল্যায়িত হয়েছে। স্বর্ণ সাধারণত নিম্ন সুদহার পরিবেশে ভালো অবস্থানে থাকে।
ওয়াটারার আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তথ্য যদি আশঙ্কার মতো উচ্চ না আসে, তাহলে স্বর্ণ বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা আরও কিছুদিন চলতে পারে।
মার্কিন সরকারে স্থবিরতার (শাটডাউন) কারণে তথ্য প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত গড়াতে পারে। রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা ধারণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে সিপিআই ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
২০ দিন ধরে চলমান শাটডাউন সোমবারও অব্যাহত ছিল। দশ দফা আলোচনার পরও সেনেট সদস্যরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি। হোয়াইট হাউজের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হাসেট বলেছেন, এই সপ্তাহেই স্থবিরতার অবসান ঘটতে পারে।
শাটডাউনের কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশে বিলম্ব ঘটছে। ফলে আগামী সপ্তাহে ফেড বৈঠকের আগে বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকরা তথ্যশূন্য অবস্থায় রয়েছেন।