Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘এখানে আমার স্বামীর মরদেহ রয়েছে কিনা দেখতে এসেছি’

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

‘এখানে আমার স্বামীর মরদেহ রয়েছে কিনা দেখতে এসেছি’

ইসরায়েলের ফেরত পাঠানো অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহই গাজায় এসেছে পচন ধরা ও বিকৃত অবস্থায়। তবে পরীক্ষাগার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে তাদের শনাক্তকরণের পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। আত্মীয়দের মাধ্যমে মরদেহগুলো শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মৃতদের নাম, পরিচয় প্রকাশের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গাজাবাসী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। রেড ক্রসের মাধ্যমে সেগুলোকে হস্তান্তর করা হয়। ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মরদেহগুলো নিয়ে এভাবেই গাজার বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে রেড ক্রসের গাড়ি।

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের মর্গের চিত্র এটি। ইসরায়েলি কারাগারে নিহত স্বজনদের মরদেহ খুঁজে পেতে এভাবেই সেখানে ভিড় করছে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো। ইতিমধ্যে কয়েকজনের মরদেহ শনাক্ত করেছে তাদের আত্মীয়রা। তবে এখনো অধিকাংশ মরদেহেরই শনাক্তকরণ বাকি। সেগুলো পচন ধরা ও বিকৃত অবস্থায় আসায় কর্তৃপক্ষের জন্য তাদের পরিচয় বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ শনাক্তে নিযুক্ত চিকিৎসক আহমেদ তাহির বলেন, ‘মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিতে আমাদের কাছে ডিএনএ টেস্ট বা অন্যান্য বিশেষায়িত পরীক্ষা করার কোনো সরঞ্জাম ও পরীক্ষাগার নেই। তাই প্রাচীন পদ্ধতিতে, আত্মীয়দের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্তকরণ চলছে।’

এদিকে, ইসরায়েলের হাতে আটক অনেক ফিলিস্তিন বন্দীর পরিবার হাসপাতালটিতে ভিড় করছেন এটা নিশ্চিত হতে যে মরদেহগুলো তাদের আপনজনের কি না। তারা জানান, মরদেহগুলো রাখার ব্যাগে সংখ্যা দেওয়া আছে, কিন্তু নাম বা পরিচয় কিছুই নেই।

এর মধ্যে এক নারী বলেন, ‘এখানে আমার স্বামীর মরদেহ রয়েছে কি না তা দেখতে এসেছি। কিন্তু ইসরায়েলের নির্যাতনে সেগুলো এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে চেনা কঠিন। জানি না কীভাবে ওকে শনাক্ত করব, কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না।’

এই অবস্থায় মরদেহগুলোর নাম ও পরিচয় প্রকাশের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে রেড ক্রস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার