মালয়েশিয়ানদের অর্থনৈতিক সুযোগ কমছে, বাড়ছে বিদেশিদের প্রভাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম

বিদেশি নাগরিকদের অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতি মালয়েশিয়ার সামাজিক কাঠামো, জননিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য এবং পাড়া-প্রতিবেশীর সৌহার্দ্যে সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
মালয়েশিয়া কমিউনিটি কনসার্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দাতুক সেরি হালিম ইশাক জানান, তাদের সংস্থার পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু আবাসিক এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, যদিও কিছু অর্থনৈতিক খাত এখনও বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল, তবুও খোলাখুলি পরিচালিত অবৈধ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘এই পরিস্থিতি স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সুযোগ সীমিত করছে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনানুষ্ঠানিক চাকরির ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে,’ বলেন হালিম।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশি নাগরিকদের এই ব্যাপক উপস্থিতির সমস্যা দ্রুত, সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে সমাধান করতে হবে।‘পুচং এলাকার কিছু আবাসিক অঞ্চলে বিদেশিদের ব্যাপক উপস্থিতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি উপেক্ষা করা ঠিক হবে না,’ তিনি বুধবার ১৫ অক্টোবর, হারিয়ান মেট্রো-কে এ সমস্যার কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশকে সমন্বিতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত নজরদারি, ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগ এবং মানবপাচার বা চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
হালিম জানান, এমসিসিএফ সম্প্রতি ক্লাং ভ্যালির বিভিন্ন এলাকা যেমন সাইবারজায়া, ক্লাং ও সেলায়াং থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছে—যেখানে বিদেশি নাগরিকদের অনিয়ন্ত্রিত বসবাসের ফলে বাসস্থানের ভিড়, নোংরামি, নিরাপত্তা সংকট এবং সামাজিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
‘দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই বিদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের সমস্যা এখনই সমাধান করতে হবে। সরকারকে পেশাদার ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে,’ তিনি বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, মালয়েশিয়ার জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এজন্য বৈধ ও অবৈধ সকল সীমান্তপথে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
হারিয়ান মেট্রো-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ, পুচংয়ের কামপুং বাটু ১২ এলাকাটি এখন যেন ‘লিটল করাচি’তে রূপ নিয়েছে। এলাকাটিতে বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি নাগরিক বসবাস করছেন এবং প্রায় পুরো ব্যবসাক্ষেত্র এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
তারা আর শুধু শ্রমিক নন; এখন তারা নিজেদের ব্যবসার মালিক বা ‘তাউকে’ হয়ে উঠেছেন এবং পরিবার নিয়ে সচ্ছলভাবে বসবাস করছেন।
অন্যদিকে, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে—কিছু স্থানীয় নারী বিদেশি নাগরিকের প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ে করেছেন, যারা পরে তাদের ব্যবহার করে ব্যবসায়িক লাইসেন্স ও ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত এই নারীরা প্রতারিত হয়ে ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন, আর বিদেশি স্বামীরা পালিয়ে যাচ্ছেন।
মালয়েশিয়া কমিউনিটি কনসার্ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দাতুক সেরি হালিম ইশাক জানান, তাদের সংস্থার পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু আবাসিক এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, যদিও কিছু অর্থনৈতিক খাত এখনও বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল, তবুও খোলাখুলি পরিচালিত অবৈধ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘এই পরিস্থিতি স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সুযোগ সীমিত করছে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনানুষ্ঠানিক চাকরির ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে,’ বলেন হালিম।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশি নাগরিকদের এই ব্যাপক উপস্থিতির সমস্যা দ্রুত, সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে সমাধান করতে হবে।‘পুচং এলাকার কিছু আবাসিক অঞ্চলে বিদেশিদের ব্যাপক উপস্থিতি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি উপেক্ষা করা ঠিক হবে না,’ তিনি বুধবার ১৫ অক্টোবর, হারিয়ান মেট্রো-কে এ সমস্যার কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশকে সমন্বিতভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিয়মিত নজরদারি, ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগ এবং মানবপাচার বা চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
হালিম জানান, এমসিসিএফ সম্প্রতি ক্লাং ভ্যালির বিভিন্ন এলাকা যেমন সাইবারজায়া, ক্লাং ও সেলায়াং থেকে বহু অভিযোগ পেয়েছে—যেখানে বিদেশি নাগরিকদের অনিয়ন্ত্রিত বসবাসের ফলে বাসস্থানের ভিড়, নোংরামি, নিরাপত্তা সংকট এবং সামাজিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
‘দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই বিদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের সমস্যা এখনই সমাধান করতে হবে। সরকারকে পেশাদার ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে,’ তিনি বলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, মালয়েশিয়ার জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এজন্য বৈধ ও অবৈধ সকল সীমান্তপথে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
হারিয়ান মেট্রো-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ, পুচংয়ের কামপুং বাটু ১২ এলাকাটি এখন যেন ‘লিটল করাচি’তে রূপ নিয়েছে। এলাকাটিতে বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি নাগরিক বসবাস করছেন এবং প্রায় পুরো ব্যবসাক্ষেত্র এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
তারা আর শুধু শ্রমিক নন; এখন তারা নিজেদের ব্যবসার মালিক বা ‘তাউকে’ হয়ে উঠেছেন এবং পরিবার নিয়ে সচ্ছলভাবে বসবাস করছেন।
অন্যদিকে, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে—কিছু স্থানীয় নারী বিদেশি নাগরিকের প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিয়ে করেছেন, যারা পরে তাদের ব্যবহার করে ব্যবসায়িক লাইসেন্স ও ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত এই নারীরা প্রতারিত হয়ে ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন, আর বিদেশি স্বামীরা পালিয়ে যাচ্ছেন।