Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

লেখা দিয়ে আলো জ্বেলেছেন কোটি হৃদয়ে, মৃত্যুর পরও বাঁচালেন জীবন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৩ পিএম

লেখা দিয়ে আলো জ্বেলেছেন কোটি হৃদয়ে, মৃত্যুর পরও বাঁচালেন জীবন
বিষণ্ণতা থেকে মানুসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বই লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন কোরিয়ান লেখিকা বেক সে-হি। তার লেখা বই মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়েছে। জাগতিক মৃত্যু হলেও নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে বাঁচিয়ে গেছেন পাচজনের জীবন।

বেক সে-হি ১৯৯০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সৃজনশীল লেখালেখি নিয়ে । পরে পাঁচ বছর একটি প্রকাশনা সংস্থায় কাজও করেছেন। তবে এক সময় তীব্র বিষন্নতায় ভুগেছেন যা ডিস্টাইমিয়া নামে পরিচিত। এ বিষন্নতার কারণে আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের কারণে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন। এর পর ২০১৮ সালে তার আত্মজীবনী নিয়ে প্রকাশ করেন বই। তার বইটি ছিল মূলত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথোপকথনের সংকলন।

‘আই ওয়ান্ট টু ডাই বাট আই ওয়ান্ট টু ইট ত্তকবোক্কি’ নামে বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয় ২০২২ সালে।এরপর তা দ্রুতই বিশ্বজুড়ে পাঠকের হৃদয় জয় করে নেয়। বর্তমানে বইটি ২৫টি ভাষায় অনূদিত ও ১০ লক্ষাধিক কপি বিক্রি হয়েছে। তার বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ আসে ২০২৪ সালে।

বইটির বিখ্যাত একটি লাইন ছিল, মানুষের হৃদয় কখনও কখনও মরতে চায়, কিন্তু একই সঙ্গে কিছু ত্তকবোক্কি (কোরিয়ান জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড) খেতেও চায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার অঙ্গদান সংস্থা (কেওডিএ) জানিয়েছে, বেক তার হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ ও কিডনি দান করেছেন, যা পাঁচজন মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
তার আত্মজৈবনিক বইয়ের ইংরেজি অনুবাদক অ্যান্টন হুর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, তার অঙ্গগুলো পাঁচটি জীবন বাঁচিয়েছে, কিন্তু তার লেখা কোটি মানুষের জীবনে আলো জ্বেলে গেছে।

সূত্র: বিবিসি
 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার