Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ইসরাইল বিরোধী আন্দোলনে গুলি, নিহত ৫

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৭ এএম

পাকিস্তানে ইসরাইল বিরোধী আন্দোলনে গুলি, নিহত ৫

পাকিস্তানে কট্টর ইসলামপন্থী দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) এর আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রবিবার রাতে সরকার ও টিএলপি’র আলোচনায় কোনো সমাধান না আসায় সোমবার মুরিদকে শহরে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে পুলিশ। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও আছেন।

লাহোরে বৃহস্পতিবার থেকে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেছিল টিএলপি। তারা ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের দিকে পদযাত্রার ঘোষণা দেয়। ফলে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।

পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, টিএলপি কর্মীরা পুলিশের ওপর পাথর, লোহার দণ্ড ও পেট্রল বোমা ছোড়ে এবং নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একজন পুলিশ সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। বেশ কিছু দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৮ জন পুলিশ ও ৮ জন সাধারণ মানুষ।’

টিএলপি জানায়, তাদের আন্দোলন প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা জানাতে শুরু হয়েছিল। পরে তারা বলে, এই বিক্ষোভ আসলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য।

একজন টিএলপি কর্মী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ঘিরে রেখেছিল। তারা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ছিল। টানা তিন থেকে চার ঘণ্টা ধরে তারা গুলি চালিয়েছে।’

অভিযানের পর রাস্তায় জ্বলন্ত গাড়ি ও দলটির নেতার প্রধান ট্রাক পড়ে থাকতে দেখা যায়। টিএলপি নেতা আল্লামা ইরফান এএফপিকে বলেন, ‘আসলে কোনো আলোচনা হয়নি। সরকার শুধু জনগণকে দেখানোর জন্য বলেছে যে তারা আলোচনা করছে।’

রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভকারীরা পৌঁছাতে পারে এই আশঙ্কায় বড় সড়কগুলোতে কনটেইনার বসিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেছে প্রশাসন।

এর আগে শুক্রবারের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন পুলিশ আহত হন বলে এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান। যদিও টিএলপি দাবি করেছে, তাদের কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন, যা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

এদিকে, ইসরায়েল শুক্রবার দুপুরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে এবং সেনা প্রত্যাহার শুরু করে। হাজারো ফিলিস্তিনি তখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিজেদের বাড়ির পথে রওনা হন।

এই সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মিশরে গাজা শান্তি চুক্তির স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এক্স-এ দেওয়া বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠান গণহত্যার এক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিশ্চিত করতে হবে, যেন এমন ঘটনা আর কোথাও না ঘটে।’

পাকিস্তানের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।



Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার