Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শেনজেন ভিসা নিয়ে ইউরোপ ভ্রমণের আগে যা জানা জরুরি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

শেনজেন ভিসা নিয়ে ইউরোপ ভ্রমণের আগে যা জানা জরুরি

ইউরোপ ভ্রমণকারীদের জন্য বড় পরিবর্তন আসছে। ২০২৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে শেনজেনভুক্ত ২৯টি দেশে নতুন ডিজিটাল এন্ট্রি/এক্সিট সিস্টেম (EES) কার্যকর হবে। এই সিস্টেম চালুর পর আর পাসপোর্টে সিল দেওয়া হবে না। ভ্রমণকারীর মুখের ছবি ও আঙুলের ছাপের মাধ্যমে প্রবেশ ও প্রস্থানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

নতুন ব্যবস্থা কী?

এক্সিট সিস্টেম হলো বায়োমেট্রিক ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকরা যখন শেনজেন অঞ্চলে প্রবেশ বা প্রস্থান করবেন, তখন সীমান্তের কিয়স্কে পাসপোর্ট স্ক্যান করতে হবে এবং সঙ্গে মুখের ছবি ও আঙুলের ছাপ দিতে হবে। এই তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে, যাতে জানা যাবে ভ্রমণকারীর প্রবেশ ও প্রস্থানের তারিখ, স্থান এবং থাকার মেয়াদ। 

আরও পড়ুন
কেন চালু হচ্ছে?

ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হলো ভ্রমণ সহজ করা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা। এর মাধ্যমে জাল পরিচয় ব্যবহার রোধ, অপেক্ষার সময় কমানো এবং ভিসা বা থাকার মেয়াদ লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে ম্যানুয়াল পাসপোর্ট সিলিং পুরোপুরি বন্ধ হবে।

কারা এর আওতায় পড়বেন?

এই সিস্টেম প্রযোজ্য হবে নন-ইইউ নাগরিকদের জন্য, যারা ১৮০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দিন শেনজেন এলাকায় থাকতে পারেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা বা লং-স্টে ভিসাধারীরা এর আওতার বাইরে থাকবেন।

বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক কি?

সম্পূর্ণ বাধ্যতামূলক নয়। তবে যাদের ই-পাসপোর্ট বা বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট আছে, তারা স্বয়ংক্রিয় গেট ব্যবহার করে দ্রুত ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টধারীদের জন্য প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর হতে পারে।

সম্পূর্ণ চালু কবে হবে?

প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের ১২ অক্টোবর। ধাপে ধাপে সব সীমান্তে এটি কার্যকর হবে। ২০২৬ সালের ১০ এপ্রিলের মধ্যে পুরো শেনজেন এলাকায় সম্পূর্ণভাবে চালু হবে। নতুন সিস্টেম চালুর পর ধীরে ধীরে পাসপোর্টে সিল দেওয়া বন্ধ হবে এবং সব তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে, যা ২৯টি শেনজেন দেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।

সূত্র: গালফ নিউজ

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার