দশমীর দিনে সিঁদুর খেলায় মাতলো পশ্চিমবঙ্গবাসী

জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম

শারদ উৎসবের দিনগুলো চোখের পলকে কেটে যায়। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত আনন্দ ভিড়ে ঢাকের তালে মুহূর্তেই যেন এসে হাজির হয় বিদায় সুর। দুর্গা উৎসবের শেষ দিন বিজয় দশমী। উমার বিদায়ের পালা। দুর্গা উৎসবে শেষ দিনে আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একাধিক রীতি যার মধ্যে দেবী দুর্গার বরণ এবং সিঁদুর খেলা।
দুর্গাপূজার শেষ দিনে বিজয় দশমীর উমার বিদায়ের মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রত্যেক পূজা মন্ডপেই ছড়িয়ে পড়ে এক মিশ্র আবহ, অশ্রু ও আনন্দ মিলেমিশে একাকার।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পূজামন্ডপ উমাকে বিদায় জানাতে হাতে কুলা নিয়ে হাজির হন অসংখ্য নারীরা।
চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিয়ে প্রত্যেক নারী সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। বিবাহিত নারীদের কাছে এই সিঁদুর খেলার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন, স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় দেবীর কাছে এই রঙিন উৎসর্গ অর্পণ করা হয়। তবে এটি বর্তমানে ধর্মীয় আচারের সীমাবদ্ধ থেমে থাকেনি, হয়ে উঠেছে সামাজিক উৎসব।
পূজা মন্ডপে উপস্থিত এক গৃহবধূ অর্পিতা দত্ত জানিয়েছেন, আজকের দিনে মাকে তার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। তাই শেষ বেলায় মাকে বরণ করে নিলাম। পরিবারের সুখ-শান্তি আশীর্বাদেরও কামনা করলা এবং অপেক্ষায় রইলাম আগামী বছরের জন্য।
অন্য এক গৃহবধূ শম্পা দেবনাথ বলেন, সিঁদুর খেলার সময় মনে হয় আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। আনন্দ এবং অশ্রুর জলে মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। মনের ভেতরে বিদায়ের একটা কষ্ট থাকলেও এই সিঁদুরের রঙে আমাদের সকলকেই এক করে দেয়।
সিঁদুর খেলা শেষে শুরু হয় মিষ্টিমুখ করানোর পালা। পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উমার বিদায়ের কষ্ট ভাগ করে নেয় সকলেই। সিঁদুর খেলা শেষে ঢাকের তালে আনন্দ মুখর পরিবেশে বিদায়ী প্রস্তুতি চলে। তবে এই বিদায়ের পালায় বুক ভরে ওঠে আগামী বছরের প্রত্যাশায়।
দুর্গাপূজার শেষ দিনে বিজয় দশমীর উমার বিদায়ের মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে প্রত্যেক পূজা মন্ডপেই ছড়িয়ে পড়ে এক মিশ্র আবহ, অশ্রু ও আনন্দ মিলেমিশে একাকার।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পূজামন্ডপ উমাকে বিদায় জানাতে হাতে কুলা নিয়ে হাজির হন অসংখ্য নারীরা।
চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিয়ে প্রত্যেক নারী সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। বিবাহিত নারীদের কাছে এই সিঁদুর খেলার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তারা বিশ্বাস করেন, স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় দেবীর কাছে এই রঙিন উৎসর্গ অর্পণ করা হয়। তবে এটি বর্তমানে ধর্মীয় আচারের সীমাবদ্ধ থেমে থাকেনি, হয়ে উঠেছে সামাজিক উৎসব।
পূজা মন্ডপে উপস্থিত এক গৃহবধূ অর্পিতা দত্ত জানিয়েছেন, আজকের দিনে মাকে তার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। তাই শেষ বেলায় মাকে বরণ করে নিলাম। পরিবারের সুখ-শান্তি আশীর্বাদেরও কামনা করলা এবং অপেক্ষায় রইলাম আগামী বছরের জন্য।
অন্য এক গৃহবধূ শম্পা দেবনাথ বলেন, সিঁদুর খেলার সময় মনে হয় আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। আনন্দ এবং অশ্রুর জলে মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। মনের ভেতরে বিদায়ের একটা কষ্ট থাকলেও এই সিঁদুরের রঙে আমাদের সকলকেই এক করে দেয়।
সিঁদুর খেলা শেষে শুরু হয় মিষ্টিমুখ করানোর পালা। পরে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উমার বিদায়ের কষ্ট ভাগ করে নেয় সকলেই। সিঁদুর খেলা শেষে ঢাকের তালে আনন্দ মুখর পরিবেশে বিদায়ী প্রস্তুতি চলে। তবে এই বিদায়ের পালায় বুক ভরে ওঠে আগামী বছরের প্রত্যাশায়।