যুক্তরাজ্যে কাজের জন্য বাধ্যতামূলক হচ্ছে ডিজিটাল আইডি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ এএম

অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে কাজের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ডিজিটাল আইডি। প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টার্মার ঘোষণা দিয়েছেন, এই উদ্যোগে অবৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হবে এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্যও সহজ হবে সেবা গ্রহণ।
সরকার জানিয়েছে, ডিজিটাল আইডি সবার জন্য ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে, এমনকি যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন না তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হবে। এ নিয়ে চলতি বছরের শেষের দিকে তিন মাসব্যাপী পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং আগামী বছরের শুরুতে সংসদে আইন আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেছেন, “ডিজিটাল আইডি যুক্তরাজ্যের জন্য এক বিশাল সুযোগ। এটি শুধু অবৈধভাবে কাজ বন্ধ করবে না, বরং সাধারণ মানুষের জন্য পরিচয় প্রমাণের ঝামেলাও সহজ করবে।” নতুন এই পরিচয়পত্রে থাকবে নাম, জন্মতারিখ, জাতীয়তা বা আবাসিক অবস্থা এবং ছবি।
তবে বিরোধী দলগুলো ইতিমধ্যেই পরিকল্পনাটির কড়া সমালোচনা করেছে। কনজারভেটিভ শ্যাডো সেক্রেটারি হেলেন হোয়াটলি দাবি করেছেন, এতে আইন মেনে চলা মানুষ অতিরিক্ত ঝামেলায় পড়বে এবং নিয়োগকর্তাদের জন্যও বাড়বে লালফিতা। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের বাধ্যবাধকতাকে গোপনীয়তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছে।
রিফর্ম ইউকেও এটিকে “ভোটারদের ধোঁকা দেওয়ার এক ফাঁকি” হিসেবে বর্ণনা করেছে। স্কটিশ সরকার এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার মিশেল ও’নিলও পরিকল্পনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ও’নিল একে গুড ফ্রাইডে চুক্তির ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন।
সরকারের দাবি, ২০২৯ সালের মধ্যে ডিজিটাল আইডি সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হলে এটি ভুয়া কাগজপত্রের ব্যবহার কমাবে, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে এবং সামাজিক সেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার দ্রুত করবে। একই সঙ্গে বার্তা দেবে— অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে না।
গ্লোবাল প্রগ্রেসিভ অ্যাকশন কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক নেতাদের সামনে স্যার কিয়ার বলেন, “বিদেশি শ্রমিকদের শোষণ আর ন্যায্য মজুরি খর্ব করার ওপর নির্ভর করাই কোনো মানবিক বামপন্থী রাজনীতি নয়।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ যুক্তরাজ্যের সীমান্তকে নিরাপদ করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ন্যায্য পরিবেশ নিশ্চিত করবে।