সমুদ্রে ভাসানো চিঠির জবাব মিলল ৩১ বছর পর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:২১ পিএম

১৯৯৪ সালে ১২ বছরের ছোট্ট আলাইনা স্টিফেন জানতেন না, তার হাতে লেখা একটি ছোট্ট চিঠি স্কটল্যান্ডের পোর্টনকি গ্রাম থেকে কত মাইল দূরে ভেসে যাবে। একটি স্কুল প্রকল্পের অংশ হিসেবে আলাইনা ‘মোরে কাপ’ নামের পানীয়র একটি ফাঁকা বোতলে নিজের পরিচয়, বয়স ও ঠিকানা লিখে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন একটি চিঠি, এই আশায় যে কেউ হয়তো এর উত্তর দেবে। তবে তার এই চিঠির জবাব আসলো, কিন্তু মাঝখানে কেটে গেল দীর্ঘ ৩১ বছর।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডের তৈরি ‘মোরে কাপ’ নামের একটি পানীয়র ফাঁকা বোতলে ভরে শিশু আলাইনা চিঠিটি তার শিক্ষকের হাতে তুলে দেন। ওই শিক্ষকের স্বামী পেশায় ছিলেন মাছশিকারি। তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় এটি মাঝসমুদ্রে ছুড়ে দেন।
এরই মধ্যে কেটে যায় ৩১ বছর। হঠাৎ একদিন নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের একটি ছোট দ্বীপ লিসশেলয়ায় সেই চিঠি খুঁজে পান পিয়া ব্রড্টমান নামের এক তরুণী। তিনি জার্মানির নাগরিক এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেই দ্বীপে সৈকত পরিষ্কারের কাজ করছিলেন।
চিঠিটি পেয়ে পিয়া রীতিমতো বিস্মিত হন। এরপর তিনি আলাইনাকে একটি পোস্টকার্ড পাঠান, সেখানে চিঠি পাওয়ার খবর জানানো হয়। পিয়াও চিঠিতে নিজের পরিচয়, বয়স, আগ্রহ আর চিঠি কোথায় পেয়েছেন, তা লেখেন।
আলাইনার বয়স এখন ৪২ বছর। তিনি বলেন, পোস্টকার্ড পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি। এখনো একই ঠিকানায় থাকায় তিনি সরাসরি চিঠিটি হাতে পান।
পরে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাইনা জানান, চিঠিটি এত বছর পরও অক্ষত দেখে তিনি হতবাক। আর পিয়া জানান, এই ঘটনা তাকে খুব আবেগতাড়িত করেছে।
এক শিশুর ছোট্ট কৌতূহল আর একটি বোতল কত শত মাইল পাড়ি দিয়ে, কত বছর পর নতুন ঠিকানায় পৌঁছাল। সম্পূর্ণ অপরিচিত ভিন্ন দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করল। এই ঘটনা সত্যিই আমাদের অনুভূতিকে ছুঁয়ে যায়।