দুসপ্তাহের কথা বলে কেন দুদিন পরই হামলা চালালেন ট্রাম্প?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার ইরানে হামলার বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথা জানান। ওই দিন ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ
করার কথাও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘বেধে দেওয়া সময়ে ইরান
আত্মসমর্পণ না করলে তারা আর ফিরতে পারবে না।’
পরের দিন অর্থাৎ, শুক্রবার ট্রাম্প ফের দুই সপ্তাহের কথা উল্লেখ করেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলা এড়াতে ইরানের হাতে সর্বোচ্চ দুই
সপ্তাহ সময় রয়েছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেধে দেওয়া দুই সপ্তাহের সময় শেষ হয়েছে মাত্র
দুদিনে। শনিবার রাতেই ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা। এ হামলাকে
সফল বলেও আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।
দুই সপ্তাহের কথা বলে কেন দুদিনের মধ্যে হামলা চালানো হলো, সবার মুখে
বর্তমানে এ কথা। ট্রাম্পের সময় বেধে দেওয়াটা কি তাহলে শুভঙ্করের ফাঁকি ছিল?
অনেকে বলছেন, ইরানকে আশ্বস্ত রাখতেই এ কৌশল নেওয়া হয়েছিল। আবার অনেকের
দাবি, ট্রাম্পের নিযুক্ত স্টিভ উইটকফের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় এ হামলা চালানো হয়।
হামলায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সোশ্যাল
প্ল্যাটফর্ম ও সম্প্রচার মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প শান্তির জন্য দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের এমন দৃষ্টিভঙ্গিতে আবার আশাবাদী অনেক বিশ্লেষক।
এদিকে ইরানের সামরিক সক্ষমতা কমাতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইসরাইল। তবে
দেশটির হাতে এখনো বিপুল অস্ত্র রয়েছে। এর জেরে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এখন
অপক্ষো করতে হবে ইরানের প্রতিক্রিয়ার।
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরানকে আলোচনার টেবিলে
আনতে বাধ্য করবে। তবে ইসরাইলের চলমান হামলার মধ্যে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয় তেহরান।
আর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এই সংঘাতে নতুন মেরুকরণ করতে পারে।
সূত্র: বিবিসি