Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুঁশিয়ারি খামেনির উপদেষ্টার

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০২:১৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুঁশিয়ারি খামেনির উপদেষ্টার
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টা মার্কিন নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই প্রণালী বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রধান রুটগুলোর একটি।

ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালানোর পর তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। রোববার (২২ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ও কট্টরপন্থি কেহান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হোসেইন শরিয়তমাদারি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি হারমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও জানান।

মূলত কেহান পত্রিকা সরকারি নয়, কিন্তু সেটিকে প্রায়ই খামেনির মতামতের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয়। শরিয়তমাদারি আগে নিজেকে খামেনির “প্রতিনিধি” হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

টেলিগ্রামে কেহান পত্রিকার একটি বার্তায় শরিয়তমাদারিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়: “ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকার হামলার পর, এখন পালা আমাদের। এক মুহূর্ত দেরি না করে, প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের উচিত বাহরাইনে অবস্থিত আমেরিকান নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো এবং একইসাথে হরমুজ প্রণালীতে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া।”

এই বার্তার শেষে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত উদ্ধৃত করা হয়: “তোমরা যেখানেই তাদের পাবে, হত্যা করো।” (সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৯১)
মূলত হরমুজ প্রণালী মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথ, যেখান দিয়ে বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তেল রপ্তানি হয়। সেটি বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ বিপর্যস্ত হতে পারে।

এর আগে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্যে ইরানের অত্যন্ত সুরক্ষিত ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে ছয়টি ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।

ফক্স নিউজের জনপ্রিয় উপস্থাপক শন হ্যানিটি জানিয়েছেন, তিনি সদ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন, ইরানের পাহাড়ের নিচে থাকা গোপন ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করেছে।

এর আগে ধারণা করা হচ্ছিল, এই দৃঢ় সুরক্ষিত স্থাপনাটি ধ্বংস করতে হয়তো দুটি বাঙ্কার-বাস্টার বোমা যথেষ্ট হবে। কিন্তু ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস্তবে প্রয়োজন হয়েছে ছয়টি।

হ্যানিটি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন থেকে ৩০টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোঁড়া হয়। সাবমেরিনগুলোর অবস্থান ছিল প্রায় ৪০০ মাইল দূরে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার