খামেনিকে হত্যা করলে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

ইরান ও ইসরাইলের চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করে অথবা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করা হয় তাহলে হিজবুল্লাহও এতে জড়িয়ে পড়বে। লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র মিডল ইস্ট আইকে (এমইই) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ১৪ জুন হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা হাসান ফাদলাল্লাহ বলেন, ‘ইরান আত্মরক্ষা করতে জানে। ’
হিজবুল্লাহর একজন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে রয়টার্সকে আরও বলেছিলেন,‘তারা ইরানের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলে আক্রমন শুরু করবে না’। তবে গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এমইইকে জানিয়েছে, ‘রয়টার্সের প্রতিবেদনটি ভুল’।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর আদর্শিক ‘রেড লাইন’ আছে। যেমন: যুদ্ধে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পৃক্ততা, অথবা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা।
এই পরিস্থিতিগুলো ‘হিসাব পরিবর্তন করবে’ এবং তাদেরকে সংঘাতে ঠেলে দিতে পারে। কিন্তু যুদ্ধে সেই ভূমিকা ঠিক কেমন হবে সে সম্পর্কে উৎস নির্ধারণ করা হয়নি।
একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেন, ওয়াশিংটন যদি হস্তক্ষেপ করে তবে হিজবুল্লাহ হস্তক্ষেপ করবে।
অবশ্য সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় ‘রেডলাইন’-এরই ইঙ্গিত দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইরানে সরাসরি হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, কিন্তু এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
অন্যদিকে খামেনির বিষয়ে গত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘ওয়াশিংটন জানে যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কোথায় আছেন, তবে ‘‘আপাতত’’ তাকে হত্যা করবে না। ’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পালটাপালটি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।