ইরানকে মার্কিনিদের কঠিন সব শর্ত মেনে নিয়ে পরমাণু আলোচনায় রাজি হতে বাধ্য করতে চেয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। পঞ্চম দফা চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ষষ্ঠ দফা আলোচনার ঠিক আগ মুহূর্তে ইসরাইলকে দিয়ে তেহরানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

কিন্তু এখন যখন পালটা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো শুরু করেছে তেহরান। দাবি করছে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দেওয়ার তখন খানিকটা চাপেই পড়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এখন কোন পথে হাঁটা উচিত এ নিয়ে যখন দেশটিতে হচ্ছে নানা আলোচনা তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা অ্যাডাম ক্লেমেন্টস বলছেন, মার্কিন পরিকল্পনা আসলে নির্ভর করছে এ যুদ্ধে কে জিতবে তার ওপর।

অ্যাডাম ক্লেমেন্টসের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান এখন পর্যন্ত অতটা সরল নয় যতটা কেউ ধারণা করতে পারছে।

পেন্টাগনের সাবেক এই কর্মকর্তা ওয়াশিংটন থেকে আল জাজিরাকে জানান, ‘এখনই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে যে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে আর কোনো সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে চায় না। তবে ক্যাপিটাল হিলে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে এ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তবে অবশ্যই কিছু ইরানের বাজপাখি আছেন যারা মনে করেন যে এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে।’

ক্লিমেন্টস আরও বলেন, এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার প্রকৃতি আসলে নির্ভর করছে ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য কী তার ওপর। এটি আসল প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যের প্রশ্ন।

তবে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সংঘাতে জড়িত হয়, তাহলে তারা কীভাবে সংঘাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবে? সেই প্রশ্নও তুলেছেন এই কর্মকর্তা।

ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে তেহরানে ইরানের একের পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দেখে অবস্থা দৃশ্যে মনে হচ্ছে এ যুদ্ধে মাথা নত করবে না ইরান। সবশেষ টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও তেমনটিই জোর গলায় বলেছেন। আর এই অবস্থায় যুদ্ধে জয় পেতে ইসরাইলের হয়ে লড়াই করা অথবা ইসরাইলকে গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া ছাড়া খুব বেশি অপশন নেই এখন ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে।