জাপানের কাছে চীনের নৌ-মহড়া, টোকিওর প্রতিবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

চীনের দুটি বিমানবাহী রণতরী শানডং ও লিয়াওনিং জাপানের খুব কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহড়া চালিয়ে আসছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টোকিও। চীনা সামরিক গতিবিধি প্রকাশ করে বেইজিংয়ের কাছে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান। খবর বিবিসির।
টোকিওর অভিযোগ, মহড়ায় চীনা যুদ্ধবিমানগুলি শত শতবার অবতরণ এবং উড্ডয়ন করেছে। আর এর মধ্যে কয়েকটি বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়া বিমান জাপানি নজরদারি বিমানের কাছাকাছি চলে এসেছিল।
মঙ্গলবার, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২৫ মে থেকে চীনা বিমানবাহী রণতরীগুলির দৈনিক অবস্থানের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যায়, উভয় রণতরী জাপানি দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি আসছে এবং মাঝে মাঝে জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যে অঞ্চলটিতে কেবল জাপানের সামুদ্রিক সম্পদ অনুসন্ধান এবং শোষণের একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশগুলি এর মধ্য দিয়ে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তারা মহড়ার সময় ৫০০টিরও বেশি চীনা যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টারের অবতরণ এবং উড্ডয়ন পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে গত ৭ জুন, একটি চীনা যুদ্ধবিমান শানডং থেকে উড্ডয়ন করে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে একটি জাপানি নজরদারি বিমানকে অনুসরণ করে। পরদিন, দ্বিগুণ সময় ধরে জাপানি বিমানের কাছাকাছি উড়ে এবং এর সামনে দিয়ে অতিক্রম করে।
আর এই বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছে না জাপান। যা নিয়ে গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, তারা এই অস্বাভাবিক পদ্ধতি সম্পর্কে বেইজিংকে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছেন যা দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষের কারণ হতে পারে।
অন্যদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, ‘প্রাসঙ্গিক জলসীমা এবং আকাশসীমায় তাদের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
তিনি আরও জানান, ‘আমি উল্লেখ করতে চাই চীনের স্বাভাবিক সামরিক কার্যকলাপের ওপর জাপানের জাহাজ এবং বিমানের ঘনিষ্ঠ নজরদারিই সামুদ্রিক ও আকাশ নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন জাপানকে এই বিপজ্জনক পদক্ষেপগুলি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।’