গোয়েন্দা মূল্যায়নের ‘ধার ধারেন না’ ট্রাম্প, নেতানিয়াহুতেই আস্থা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের মধ্যে প্রকাশ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছেন, ‘তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।’ তার এই বক্তব্য গ্যাবার্ডের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি (গ্যাবার্ড) কী বলেছেন আমি তার ধার ধারি না। আমার মনে হয় তারা (ইরান) একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।
অথচ গত ২৫ মার্চ মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটিতে দেওয়া বক্তব্যে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সম্প্রদায় এখনো মনে করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০০৩ সালে স্থগিত করা কর্মসূচির অনুমোদন এখনো দেননি।
তবে গ্যাবার্ড সতর্ক করেছিলেন, ইরান বর্তমানে অস্ত্র-উপযোগী ইউরেনিয়ামের সর্বোচ্চ মজুদধারী অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র, যা উদ্বেগজনক। কিন্তু এতে সরাসরি অস্ত্রায়নের আলামত নেই বলে জানান তিনি।
গত ১৩ জুন ইরানের নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রসহ একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে যাওয়ায় আগেভাগেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের চারটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও তা ব্যবহারযোগ্যভাবে মোতায়েন করার সক্ষমতা অর্জন থেকে এখনো অন্তত তিন বছরের দূরত্বে রয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইরান এমন অবস্থানে রয়েছে যে, চাইলে খুব দ্রুত অস্ত্র তৈরি করতে পারে, তবে এ পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেয়নি।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে না।’ কূটনৈতিক আলোচনায় অনাগ্রহ দেখিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি চান ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ত্যাগ করুক।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি (গ্যাবার্ড) কী বলেছেন আমি তার ধার ধারি না। আমার মনে হয় তারা (ইরান) একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।
অথচ গত ২৫ মার্চ মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটিতে দেওয়া বক্তব্যে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সম্প্রদায় এখনো মনে করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ২০০৩ সালে স্থগিত করা কর্মসূচির অনুমোদন এখনো দেননি।
তবে গ্যাবার্ড সতর্ক করেছিলেন, ইরান বর্তমানে অস্ত্র-উপযোগী ইউরেনিয়ামের সর্বোচ্চ মজুদধারী অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র, যা উদ্বেগজনক। কিন্তু এতে সরাসরি অস্ত্রায়নের আলামত নেই বলে জানান তিনি।
গত ১৩ জুন ইরানের নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্রসহ একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে ইসরায়েল। তেল আবিবের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে যাওয়ায় আগেভাগেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের চারটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও তা ব্যবহারযোগ্যভাবে মোতায়েন করার সক্ষমতা অর্জন থেকে এখনো অন্তত তিন বছরের দূরত্বে রয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইরান এমন অবস্থানে রয়েছে যে, চাইলে খুব দ্রুত অস্ত্র তৈরি করতে পারে, তবে এ পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেয়নি।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে না।’ কূটনৈতিক আলোচনায় অনাগ্রহ দেখিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি চান ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ত্যাগ করুক।