হঠাৎ মধ্যপ্রাচ্যের পথে মার্কিন রণতরী : কী আছে ইউএসএস নিমিৎজে?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০২:৪২ এএম

বিশ্বরাজনীতির উত্তাপের মধ্যে হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ (USS Nimitz)। দক্ষিণ চীন সাগরে কয়েক মাস অবস্থানের পর রণতরীটি এবার রওনা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে। এই অপ্রত্যাশিত মোড় নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েল ঘিরে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা মাথায় রেখেই মার্কিন নৌবাহিনী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেরিন ট্রাফিক নামক আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ট্র্যাকিং সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ চীন সাগরে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে পশ্চিম দিকে রওনা দেয় ইউএসএস নিমিৎজ। বর্তমানে মালাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ভারত মহাসাগরে রয়েছে রণতরীটি।
লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং পারস্য উপসাগর— মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের প্রধান তিনটি সাগর-উপসাগর ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি। সাগরপথে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে হলে ভারত মহাসাগরের হয়েই যেতে হয়।
এর আগে এক বিবৃতিতে মেরিন ট্রাফিক জানিয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে ভিয়েতনাম উপকূলের দিকে যাচ্ছিল ইউএসএস নিমিৎজ। আগামী সপ্তাহে ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহর দানাং সিটি’তে পৌঁছার কথা ছিল এই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার রণতরীর। আগামী ২০ জুন নিমিৎজের ক্রুদের আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান হওয়ারও শিডিউল ছিল ভিয়েতনামে। কিন্তু সোমবার হঠাৎ ইএসএস নিমিৎজ দিক পরিবর্তন করে পশ্চিম দিকে রওনা দেয়।
এ ইস্যুতে আরও বিস্তারিত জানতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়-এ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জরুরি অপারেশনাল দায়িত্বের জন্য পেন্টাগনের (মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর) নির্দেশ অনুযায়ী গতিপথ পরিবর্তন করেছে ইউএসএস নিমিৎজ।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে হঠাৎ আলোচনায় আসা ইউএসএস নিমিৎজে কী আছে
ইউএসএস নিমিৎজ হলো নিমিৎজ-শ্রেণির বিমানবাহী রণতরীগুলোর মধ্যে প্রধান জাহাজ এবং এটি পারমাণবিক শক্তিচালিত। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই রণতরীটি সাধারণত ৬০ থেকে ৯০টি পর্যন্ত যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য সহায়ক বিমান বহন করতে সক্ষম। এর প্রধান কাজ হলো বৈশ্বিক সামরিক অভিযান, শক্তি প্রদর্শন এবং প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া। এর পারমাণবিক চুল্লির কারণে একবার জ্বালানি ভরলে এটি প্রায় ২০-২৫ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে।
১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া এই বিমানবাহী রণতরীটি আকারে একটি ভাসমান শহরের মতো। এতে প্রায় ৬ হাজার নৌসেনা ও বিমানচালক কর্মরত।
রণতরীটিতে আরও রয়েছে— যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, F/A-18 সুপার হর্নেট ফাইটার জেট, ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান EA-18G Growler, শক্তিশালী রাডার এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরচালিত প্রপালশন সিস্টেম, যার ফলে এটি টানা ২০ বছর জ্বালানি ছাড়াই চলতে সক্ষম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের কমান্ডার চেস্টার ডব্লিউ নিমিৎজ-এর নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩ মে এটি চালু হয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নিরাপত্তা কৌশল এবং সামরিক উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেরাল্ড আর. ফোর্ড-শ্রেণির বিমানবাহী রণতরী। এই শ্রেণির রণতরীগুলো নিমিৎজ-শ্রেণির চেয়েও বড় এবং আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত। প্রথম জেরাল্ড আর. ফোর্ড-শ্রেণির রণতরী হলো ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। এটিই বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েল ঘিরে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা মাথায় রেখেই মার্কিন নৌবাহিনী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেরিন ট্রাফিক নামক আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল ট্র্যাকিং সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ চীন সাগরে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে পশ্চিম দিকে রওনা দেয় ইউএসএস নিমিৎজ। বর্তমানে মালাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ভারত মহাসাগরে রয়েছে রণতরীটি।
লোহিত সাগর, আরব সাগর এবং পারস্য উপসাগর— মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের প্রধান তিনটি সাগর-উপসাগর ভারত মহাসাগরের কাছাকাছি। সাগরপথে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে হলে ভারত মহাসাগরের হয়েই যেতে হয়।
এর আগে এক বিবৃতিতে মেরিন ট্রাফিক জানিয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা দিয়ে ভিয়েতনাম উপকূলের দিকে যাচ্ছিল ইউএসএস নিমিৎজ। আগামী সপ্তাহে ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহর দানাং সিটি’তে পৌঁছার কথা ছিল এই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার রণতরীর। আগামী ২০ জুন নিমিৎজের ক্রুদের আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান হওয়ারও শিডিউল ছিল ভিয়েতনামে। কিন্তু সোমবার হঠাৎ ইএসএস নিমিৎজ দিক পরিবর্তন করে পশ্চিম দিকে রওনা দেয়।
এ ইস্যুতে আরও বিস্তারিত জানতে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়-এ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জরুরি অপারেশনাল দায়িত্বের জন্য পেন্টাগনের (মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর) নির্দেশ অনুযায়ী গতিপথ পরিবর্তন করেছে ইউএসএস নিমিৎজ।
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে হঠাৎ আলোচনায় আসা ইউএসএস নিমিৎজে কী আছে
ইউএসএস নিমিৎজ হলো নিমিৎজ-শ্রেণির বিমানবাহী রণতরীগুলোর মধ্যে প্রধান জাহাজ এবং এটি পারমাণবিক শক্তিচালিত। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই রণতরীটি সাধারণত ৬০ থেকে ৯০টি পর্যন্ত যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য সহায়ক বিমান বহন করতে সক্ষম। এর প্রধান কাজ হলো বৈশ্বিক সামরিক অভিযান, শক্তি প্রদর্শন এবং প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া। এর পারমাণবিক চুল্লির কারণে একবার জ্বালানি ভরলে এটি প্রায় ২০-২৫ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে।
১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়া এই বিমানবাহী রণতরীটি আকারে একটি ভাসমান শহরের মতো। এতে প্রায় ৬ হাজার নৌসেনা ও বিমানচালক কর্মরত।
রণতরীটিতে আরও রয়েছে— যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, F/A-18 সুপার হর্নেট ফাইটার জেট, ইলেকট্রনিক যুদ্ধবিমান EA-18G Growler, শক্তিশালী রাডার এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরচালিত প্রপালশন সিস্টেম, যার ফলে এটি টানা ২০ বছর জ্বালানি ছাড়াই চলতে সক্ষম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের কমান্ডার চেস্টার ডব্লিউ নিমিৎজ-এর নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩ মে এটি চালু হয়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নিরাপত্তা কৌশল এবং সামরিক উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেরাল্ড আর. ফোর্ড-শ্রেণির বিমানবাহী রণতরী। এই শ্রেণির রণতরীগুলো নিমিৎজ-শ্রেণির চেয়েও বড় এবং আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত। প্রথম জেরাল্ড আর. ফোর্ড-শ্রেণির রণতরী হলো ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। এটিই বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ।