Logo
Logo
×

বিনোদন

‘এমন জায়গায় মারতো যেন বাইরে থেকে দেখা না যায়’

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ পিএম

‘এমন জায়গায় মারতো যেন বাইরে থেকে দেখা না যায়’

আশির দশকে বলিউডের প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এছাড়া তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম এমনকি, বাংলা সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা গেছে। ক্যারিয়ারের শিখরে থাকাকালীন পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। যা তাকে ঠেলে দেয় দুঃসহ নরক যন্ত্রণায়। 

বলছি অভিনেত্রী রতি অগ্নিহোত্রীর কথা। যিনি ১৯৮০-এর দশকে ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ও ‘কুলি’ সিনেমার সুবাদে তৎকালীন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৮৫ সালে স্থপতি অনিল বিরওয়ানিকে বিয়ের পর অভিনয় থেকে দূরে সরে যান। বাইরে থেকে সুখের সংসার মনে হলেও অন্তর্গত বাস্তব ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বহু বছর পর এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে রতি জানান, বিয়ের শুরুর দিক থেকেই শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়েছিল। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি তা সহ্য করেছেন হাসিমুখে, নিখুঁত জনসমক্ষ ইমেজের আড়ালে।

এত কিছু সহ্য করেও কেন থেকে গিয়েছিলেন? রতি জানান, তার থাকার দুটি কারণ ছিল- বিবাহবন্ধনের পবিত্রতায় বিশ্বাস আর বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ছেলে তনুজ বিরওয়ানির জন্ম।

ছেলের ভবিষ্যৎকে অগ্রাধিকার দিয়ে রতি বারবার নিজেকে বুঝিয়েছেন, একদিন না একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি জানান, নির্যাতনের বেশির ভাগ আঘাতই এমন জায়গায় করা হতো, যাতে চোট বা দাগ বাইরে থেকে দেখা না যায়; এতে ‘সুখী পরিবার’-এর ভান বজায় রাখতে সুবিধা হতো।

শেষ পর্যন্ত কি তাকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল? ২০১৫ সালের ৭ মার্চ পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়। সেদিন তাদের ছেলে তনুজ ছিল পুনেতে শুটিংয়ে। হঠাৎই এক সহিংস ঘটনার পর তিনি বুঝে যান, ঘুরে দাঁড়াতে হবে।

রতি বলেন, তখন আমার বয়স ৫৪। ভাবলাম, বয়স বাড়বে, শরীর দুর্বল হবে, একদিন এটি আমাকে মেরে ফেলবে।

এক সপ্তাহ পর রতি একা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে সাহস সঞ্চয় করে প্রথমবারের মতো নির্যাতনের অভিযোগ করেন। মা যে এত বছর ধরে এমন অবস্থার মধ্যে ছিলেন, তা জানতে পেরে তনুজ তার পাশে দাঁড়ান। পরে তিনি চেষ্টা করেছিলেন মা-বাবার সম্পর্ক মেরামত করতে, কিন্তু রতি আর কখনোই অনিলের বাসায় ফিরে যাননি। নতুন করে জীবন শুরু করার জন্য তিনি চলে যান তার লোনাভালার বাংলোতে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রতি এখন বেশির ভাগ সময় কাটান পোল্যান্ডে। সেখানে বোন অনিতার সঙ্গে মিলে একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। অন্যদিকে, ছেলে তনুজ বিরওয়ানি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতের বিনোদনজগতে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার