Logo
Logo
×

বিনোদন

শাকিবও জানত, চেষ্টা করলেও লাভ হবে না : তামান্না

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম

শাকিবও জানত, চেষ্টা করলেও লাভ হবে না : তামান্না

তামান্না হাসিন হুদা শৈশব থেকেই পরিবারের সঙ্গে সুইডেন থাকেন। সেখানেই পড়ালেখা করেছেন। ক্লাস এইটে পড়ার সময় ১৯৯৫ সালে দেশে বেড়াতে এসে আফজাল হোসেনের নির্মাণে স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্কের মডেল হন। সেখান থেকে ডাক আসে চলচ্চিত্রে।

নায়ক বাপ্পরাজের বিপরীতে তিনি ‘ত্যাজ্যপুত্র’ ছবিতে প্রথমবারের মতো সিনেমার জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। তবে ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া প্রয়াত পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ভণ্ড’ ছবিতে নায়ক রুবেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে জনপ্রিয়তা পান নায়িকা তামান্না। লাবণ্যময়ী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নিরহঙ্কার অমায়িক চরিত্রের তামান্নাকে এই ছবিটি পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় তিনি কাজ করেন।

মাত্র ৫ বছরের ক্যারিয়ারেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় সিনেমা ছেড়ে দিয়ে ফিরে যান সুইডেনে। এখনো সেখানেই রয়েছেন। 

অভিনেত্রীর বাইরেও তামান্না একজন ডেন্টিস্ট। পাশাপাশি সুইডেনের নৃত্যশিল্পী অ্যাসোসিয়েশনের ড্যান্স লিডার হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। সিনেমা ছেড়ে বিদেশবিভূইয়ে এখন কাটছে সময়, সিনেমার পুরনো দিনগুলো নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

বরাবরই স্পষ্টবাদী এ নায়িকা। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামান্না হুদা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, স্বামী-সংসার-সন্তান নিয়ে ভালো আছি। আমি তো এখানে একটি নাচের প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছি। ভালোই যাচ্ছে। এ ছাড়া পরিবারকে সময় দিচ্ছি, এভাবেই কেটে যাচ্ছে বলা যায়।

যেহেতু অনেক বছর ধরেই সুইডেনে, অভিনয়কে তো নিশ্চয় মিস করেন! সেখানকার ইন্ডাস্ট্রিতে তো চাইলেই অভিনয় করতে পারতেন।

কথার রেশ ধরে তিনি বলেন, শুরুর দিকে কিছু পেয়েছিলাম কিন্তু আমি আগ্রহ পাইনি। কারণ তারা যেভাবে কাজ করে, যে ধরনের কাজ করে সেগুলো আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি আমার দেশে যে সুবর্ণ সময়টা পার করে এসেছি, এখনো যে তার জন্য অনেক মানুষের ভালোবাসা পাই সেটাতেই আমি তৃপ্ত। ছেলে-মেয়েরা বড় হচ্ছে, মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে সেই সময়গুলো নিয়ে গল্প করি।

শাকিব খানের সঙ্গে একসময় কাজ করেছেন তামান্না।  সে সময় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, এখন যোগাযোগ হয় কি না, এমন প্রশ্নে তামান্না হুদা বলেন, আমার যে বছর সিনেমা রিলিজ হয়, ওই বছরই নাকি পরের বছর যেন শাকিবের প্রথম সিনেমা রিলিজ হয়। ওর সঙ্গে দুই-তিনটা ছবি করেছিলাম মনে হয়। আমি তো তখন একদম নতুন ছিলাম, শুটিংয়ে সেভাবে আলাদা করে কারো সঙ্গে কথা বলতাম না, মিশতাম না। কাজ করে সোজা বাসায় চলে আসতাম। শাকিবও তখন নতুন ছিল। তবে ওর মধ্যে সব সময় কাজের প্রতি সৎ থাকতে দেখেছি, শুধু কাজে ডুবে থাকত। সারাক্ষণ সিনেমা নিয়ে ভাবত। শুটিংয়ে কাজের বাইরে সেভাবে আমাদের তেমন কোনো কথা হতো না। আর শাকিবও সেভাবে চেষ্টা করত না। কারণ ও জানে, চেষ্টা করলেও লাভ হবে না। কারণ ওই সময় আমি কারো সঙ্গে মিশতামই না।

তিনি আরও বলেন, এরপর তো আমি চলেই এলাম। শাকিবের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। শাকিবও যোগাযোগ করেনি। তবে সম্প্রতি ওর সিনেমা দেখে বুঝতে পেরেছি ও নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। তা ছাড়া মাঝেমধ্যে সোশ্যালেও অনেক কিছু দেখি। বুঝতে পেরেছি, ও এখন দেশের অনেক বড় তারকা। এটা দেখে আমার ভালোই লেগেছে। কারণ, আজকে শাকিব যা হয়েছে, সেটা ওর নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমের কারণেই সম্ভব হয়েছে। ও এটা ডিজার্ভ করে।

উল্লেখ্য, ৫ বছরে তামান্না অভিনয় করেছে মাত্র ১৫টি সিনেমাতে। এরপর ২০১৩ সালে এসে ১টি সিনেমা করেছিলেন; মোট ১৬টি সিনেমা। তামান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘ভণ্ড’, ‘হৃদয়ে লেখা নাম’, ‘তুমি আমার ভালোবাসা’, ‘শত্রু তুমি বন্ধু তুমি’, ‘কঠিন শাস্তি’, ‘সন্ত্রাসী বন্ধু’, ‘আমার প্রতিজ্ঞা’, ‘মুখোশধারী’, ‘পাগল তোর জন্য রে’ ইত্যাদি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার