Logo
Logo
×

বিনোদন

‘মিস ইউনিভার্স’ এর মঞ্চে বিকিনি পরা নিয়ে মুখ খুলেন মিথিলা

‘পোশাক দিয়ে একটা মানুষকে কেন বিচার করবেন?’

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ এএম

‘মিস ইউনিভার্স’ এর মঞ্চে বিকিনি পরা নিয়ে মুখ খুলেন মিথিলা

সদ্যই পর্দা নামলো মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরের। যেখানে সেরার মুকুট জয় করে নিয়েছেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ। এবারের আসরে বেশ জোরেসোরেই নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি তানজিয়া জামান মিথিলা। বিশ্বের ১২১টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ পর্যন্ত স্থান করে নিয়েছেন ‘টপ ৩০’-এ!

যদিও ভোটযুদ্ধে শীর্ষস্থান দখলে নিতে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী ১২১ দেশের প্রতিযোগীর ভিড়ে বাংলাদেশকে সামনে তুলে ধরতে তার লড়াই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছিল তুমুল ক্যাম্পেইনও। তার পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে শোবিজ অঙ্গনের মানুষদেরও!

কিন্তু ভোটিংয়ের শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি কিছুটা বদলে যায়! ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার বিচ বডি বা বিকিনি রাউন্ডে অংশ নেওয়ার পর দেশে একাংশের সমালোচনার মুখে পড়েন মিথিলা। একই সঙ্গে ভোটেও পিছিয়ে পড়তে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোনো প্রতিযোগিতাতেই শীর্ষ স্থানটি নিজের করে নিতে পারেননি মিথিলা!

সোমবার রাতে প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টার লাইভে এ বিষয়েও কথা বলেন মিথিলা। বিকিনি পরা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমালোচনা নিয়ে মিথিলা এদিন বলেন,“বিকিনি নিয়ে অনেককে অনেক কিছু বলতে দেখলাম। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, এটা একটা প্রোগ্রাম। যে প্রোগ্রামে প্রথম থেকেই বলা আছে ইভিনিং গাউন কম্পিটিশন, পারসোনাল ইন্টারভিউ, বিকিনি রাউন্ড এবং ন্যাশনাল কস্টিউম- এই চারটার উপরে মার্কিং হয়। তো আমার যদি কিছু ওখানে পরতে ইচ্ছে না করে, তাহলে ওখানে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু প্রতিযোগিতার শুরুতেই যখন ওখানে বলা আছে, এই ক্যাটাগরির উপর মার্কিং হয় ফলে সেখানে গিয়ে আমি বলতে পারি না যে আমি বিকিনি পরবো না!”

মিথিলা বলেন,“মেবি আই অ্যাম নট পারফেক্ট, কিন্তু আমি হেপোক্রেট না। আমি ওখানে গিয়ে বলবো না যে আমি এটা পরবো না, ওটা করবো না। দেশকে এরকমভাবে আমি তুলে ধরতেও চাই না। আর আমি বাংলাদেশে প্রথম নই যে বিকিনি পরেছে! আমার কাছে মনে হয়, বিকিনি পরাটা একজন মানুষের পারসোনাল চয়েস। একটা মেয়ে যদি কনফিডেন্ট ফিল করে, মেয়ে তার বডি নিয়ে সিওর থাকে এবং সে যদি বিকিনি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য ফিল করে; আমার কাছে মনে হয় এটা পরলে কোনো অসুবিধা নাই।”

পোশাক দিয়ে একটা মানুষকে কেন বিচার করবেন? এমন প্রশ্ন রেখে মিথিলা বলেন, যেখানে ১২১টা দেশের মেয়ে এসে বিকিনি পরছে তাদের কোনো প্রবলেম নাই, আমাদের কেন প্রবলেম থাকবে? আমরা কেন এভাবে নিজেদেরকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখবো? স্পেশালি ইয়াং জেনারেশন, তাদেরকে তো এভাবে আটকে রাখতে পারবেন না। তারা স্বাধীনচেতা। ওরা অনেক কিছু বুঝে, বিশ্বকে দেখে এবং তারা তাদের চোখে বিশ্বকে দেখে। ওদের যেটা ভালো লাগবে, সেটাই করবে। আমি মনে করি, একজন মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, যেভাবে থাকতে চায়- তার লাইফস্টাইলে কারো বাঁধা দেয়া উচিত নয়।

প্রতিযোগিতা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে দেশে ফিরেছেন মিথিলা। ঢাকা বিমানবন্দরে নেমেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই মডেল ও অভিনেত্রী। থাইল্যান্ডে ‘মিস ইউনিভার্স’-এর নানা অভিজ্ঞতার কথা জানানোর পাশাপাশি সেখানেও বিকিনি পরা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

‘দেশকে ছোট করিনি’ মন্তব্য করে এসময় তিনি বলেন,“ক্লোজ ডোর ইন্টার্ভিউ, ইভিনিং গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম, সুইম স্যুট ওয়ার এই চারটি জিনিসের উপর মার্কিং করা হয়। এগুলো যদি কেউ ঠিকমত করতে না পারে তাহলে সে সেরা ৩০ কিংবা টপ পজিশনে যেতে পারবে না। আমি সেরা ৩০ হয়েছি, এটাও পারতাম না যদি সুইম স্যুট ওয়ার না করতাম। বিকিনি বাংলাদেশ থেকে আমি প্রথম পরিনি, আগেও অনেকে পরেছে। আমি কোনোভাবে আমার দেশকে ছোট করিনি।”

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার