Logo
Logo
×

বিনোদন

অদ্ভুত চুক্তিভিত্তিক বিয়ে জন্ম দেয় এক অসাধারণ প্রেমকাহিনির

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ পিএম

অদ্ভুত চুক্তিভিত্তিক বিয়ে জন্ম দেয় এক অসাধারণ প্রেমকাহিনির

শুরুটা এক যুগ আগে। চীনের শানজি প্রদেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত এক তরুণী ও ক্যান্সারে আক্রান্ত এক তরুণে অদ্ভুত চুক্তিভিত্তিক বিয়ে শেষে রূপ নেয় এক অসাধারণ প্রেম কাহিনিতে। যা নিয়ে ২০২৪ সালে নির্মিত হয়েছে চিনা চলচ্চিত্র Viva La Vida, যা বক্স অফিসে ২৭৬ মিলিয়ন ইউয়ান আয় করে।

২৪ বছর বয়সী ওয়াং জিয়াও-এর ইউরেমিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এর জন্য সময় মাত্র এক বছর। এরপর মরিয়া হয়ে তিনি সামাজিক যোগাযােগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেন, ‘আমি এমন একজন মরণাপন্ন পুরুষকে খুঁজছি, যিনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি, যাতে মৃত্যুর পর তার কিডনি আমি পেতে পারি।’

এই বিজ্ঞাপনটি চোখে পড়ে ইউ জিয়ানপিং নামে এক যুবকের। ২৭ বছর বয়সি জিয়ানপিং একসময় ব্যবসায়ী ছিলেন। পরে বোন ম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিঃস্ব যান। তার রক্তের গ্রুপ ওয়াংয়ের সঙ্গে মিলে যায়। তিনি ওয়াং জিয়াও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এর পর ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তারা চুক্তিতে গোপনে বিয়ে করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ইউ মারা গেলে তার কিডনি যাবে স্ত্রীর শরীরে। এর বিনিময়ে ওয়াং প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্বামীর যত্ন নেবেন।

প্রথমে সম্পর্কটি নিঃস্বার্থ চুক্তির হলেও একসঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে তাদের মধ্যে জন্ম নেয় ভালোবাসা। 

একটা সময় ইউ-এর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। তখন স্বামীর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে ওয়াং রাস্তার ধারে ফুল বিক্রি শুরু করেন। তার বিক্রিত ফুলে সংযুক্ত থাকতো ছোট ছোট ভালোবাসার বার্তা, যা দ্রুত মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। ধীরে ধীরে তিনি প্রায় ৫ লাখ ইউয়ান (৭০ হাজার মার্কিন ডলার) জোগাড় করেন ইউ-এর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য।

অবশেষে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে ইউ-এর ক্যান্সার স্থিতিশীল পর্যায়ে আসে। আর ওয়াংয়ের কিডনির অবস্থাও অনেকটা উন্নতি হয়। তখন চিকিৎসকরা জানান, হয়তো কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনই হবে না। 

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা ছোট পরিসরে বিবাহোৎসবের আয়োজন করেন, যেখানে তাদের পরিবার ও বন্ধুরা অলৌকিক ভালোবাসা উদযাপন করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার