রাজনীতিতে মৈথিলী ঠাকুর? জল্পনা তুঙ্গে, কী বলছেন ভক্তরা?

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২১ এএম

ভারতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুরের রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সবে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মৈথিলী। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা বাকি। তবে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে গুঞ্জন দেখে বেশ উৎসাহিত মৈথিলী। নিজ মুখেই সেই কথা স্বীকার করেছেন সঙ্গীতশিল্পী।
মৈথিলী ঠাকুর বিজেপির বিহার ইনচার্জ বিনোদ তাওড়ের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে শেয়ার করে নিজের মতামত ব্যক্ত করার পর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তিনি লেখেন, “বিহারের জন্য যারা বড় স্বপ্ন দেখেন তাদের সঙ্গে হওয়া প্রতিটি কথোপকথন আমার দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেবার মনোভাবের কথা মনে করিয়ে দেয়… আমি গভীরভাবে সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ।” এই পোস্টে ইতিমধ্যেই উঠেছে কমেন্টের ঝড়।
অনেকেই মৈথিলীকে রাজনৈতিক জগতে পা রাখতে নিষেধ করছেন। তবে রাজনীতির প্রতি কি হঠাৎ করেই উৎসাহ প্রকাশ করেছেন মৈথিলী? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এর আগেও নবরাত্রিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৈথিলীর একটি গান শেয়ার করেছিলেন। সেখানেই মোদীকে ধন্যবাদ বলতে দেখা গেছে তাকে। তার আগে নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা বার্তাও দিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী। তবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী রাজনীতির জগতে প্রবেশ করলে তার সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে বলেই মনে করছেন ভক্তরা। অনেকেই স্মৃতি ইরানি এবং কঙ্গনা রানাওতের উদাহরণ তুলে ধরেছেন।
মৈথিলী রাজনীতিতে এলে ফায়দা বিজেপির
মৈথিলী ঠাকুরের মোট বিহারের জনপ্রিয় শিল্পী বিজেপিতে যোগ দিলে মিথিলাঞ্চলে বিজেপির জয় সহজ হবে, এই বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে মৈথিলী ঠাকুরের তাতে লাভ? বিহারের মগধ অঞ্চলের বাসিন্দা প্রবীণ সাংবাদিক অরবিন্দ শর্মা তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “মৈথিলী ঠাকুর তো ছোট। তার লোকগান বিহারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু এখন আশঙ্কা হচ্ছে, রাজনীতিকে পা রাখলে তার সঙ্গীতের মৃত্যু হবে।”