Logo
Logo
×

অর্থনীতি

যেভাবে টিন সনদের ভুল সংশোধন করবেন

Icon

বিজনেস ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ পিএম

যেভাবে টিন সনদের ভুল সংশোধন করবেন

টিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ বা সার্টিফিকেট, যা ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের আয়কর দাখিলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এটি হচ্ছে— টিন সনদ কিংবা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সনদ— একটি ইউনিক নম্বর।

এটি করদাতার একটি পরিচিতি হিসেবে কাজ করে এবং করসংক্রান্ত নানা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টিন সার্টিফিকেট প্রাপ্তির মাধ্যমে সরকার করদাতার আয় ও কর পরিশোধসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে।

টিন সনদ থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। এখন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে গেলে, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে এবং নতুন ব্যবসা শুরু করতে লাইসেন্স নিতে গেলেও টিন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। এমনকি ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্যও প্রয়োজন হয় টিন সনদ বা সার্টিফিকেট।

টিন সনদ থাকলে আপনাকে বাধ্যতামূলত ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতেই হবে। যদি আপনার করযোগ্য আয় বা সম্পদ না থাকে, তাহলে জিরো রিটার্ন দিতে পারবেন। অনেকে এটি ভালোভাবে বোঝেন না। এ কারণে ঝামেলা মনে করেন তারা। তবে অনেকসময় দেখা যায়, টিন সনদ করতে গিয়ে কোথাও ভুল করে ফেললেন। নিজের নাম, বাবা-মায়ের নামের বানান, জন্মতারিখসহ নানা ছোটখাটো ভুল হতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সহজেই সেই ভুল আপনি সংশোধন করতে পারবেন। আর টিন সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য সাধারণত কোনো ফি লাগে না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে ঘরে বসে টিন সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করবেন —

১. ই-টিআইএন পোর্টালে নিবন্ধন

প্রথমে আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ই-টিআইএনে নিবন্ধন করুন। আর যদি আপনার আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে, তবে লগইন করুন। আর যদি না থাকে, তাহলে এই লিঙ্কে গিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলুন।

২. ‘রেজিস্টার’ অপশন 

এবার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘রেজিস্টার’ অপশনে ক্লিক করুন। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য লিখুন। নিজের নাম, ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড, মোবাইল নম্বর এবং ই-মেইল আইডি দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করুন। এবার নিবন্ধন হয়ে গেলে আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে পোর্টালে লগইন করুন। লগইন করার পর আপনার প্রোফাইল ড্যাশবোর্ড দেখুন। এবার আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর ‘টিন ইনফরমেশন’ অথবা ‘আপডেট টিন ইনফরমেশন’ অপশনটি খুঁজুন। এবার আপনি আপনার টিন সার্টিফিকেটের তথ্য দেখতে পাবেন। যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, সেটির পাশে ‘এডিট’ অথবা ‘আপডেট’ অপশনটিতে ক্লিক করুন। প্রয়োজনীয় ঘরগুলোতে সঠিক তথ্য দিয়ে আপডেটের জন্য আবেদন করুন।

৩. সংশোধনের কারণ 

সংশোধনের কারণ লেখার প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে সংশোধনের স্বপক্ষে কিছু প্রমাণপত্র আপলোড করতে হতে পারে। যেমন-জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা অন্য কোনো সরকারি ডকুমেন্টস প্রমাণপত্র চাইবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক স্ক্যান করা ডকুমেন্টস আপলোড করুন।

৪. সাবমিট অপশন

সংশোধিত তথ্য দেওয়ার পর আবেদনপত্রটি ভালোভাবে দেখে নিন। এরপর ‘সাবমিট’ অথবা ‘আপডেট’ অপশনে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি জমা দিন। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর একটি রিসিট ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার