Logo
Logo
×

অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্র কেনার পর যে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

Icon

বিজনেস ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম

সঞ্চয়পত্র কেনার পর যে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ ঘটনার পর সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের জন্য ও যারা সঞ্চয়পত্রে টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য দেওয়া হলো কিছু পরামর্শ:

সঞ্চয়পত্র কেনার পর ব্যাংক অথবা সঞ্চয় অফিস থেকে যেসব ডকুমেন্ট দেওয়া হয়, এতে একটি কিউআর কোড থাকে। কিউআর কোড আছে কি না, তা দেখতে হবে। এ নথি যত্নসহকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ যে কোনো প্রয়োজনে তা লাগবে। হঠাৎ সঞ্চয়পত্রের টাকা চুরি হলে ওইসব ডকুমেন্ট তখন প্রয়োজন হবে।

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল টাকা ব্যাংক হিসাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হয়। তাই নিশ্চিত করুন যে আপনার দেওয়া ব্যাংক হিসাবটি সব সময় সক্রিয় আছে। যদি ব্যাংক হিসাব বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করে তা ফের চালু করুন। তা না হলে মুনাফা ও মূল টাকা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। যদি কোনো কারণে ব্যাংক হিসাব বদলাতে হলে আবেদন করে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নতুন করতে হবে।

বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নম্বর বা ব্যাংক হিসাব নম্বর তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তনের সুযোগ নেই। কোনো কারণে ফোন নম্বর বদলাতে হলেও আবেদন করে জানাতে হবে সঞ্চয় অধিদপ্তরকে। ফোনেই সঞ্চয়পত্র যে হিসাবে আছে, সেই হিসাবের লেনদেনের বার্তা আসে।

যে কোনো তথ্য পরিবর্তন, সুদ বা আসল টাকা তোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, সেখানেই আবেদন করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার ফোন নম্বরে আসা কোনো ওয়ানটাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) বা গোপন তথ্য কাউকে জানাবেন না। যতটা পারা যায় গোপন রাখতে হবে। পাসওয়ার্ড জালিয়াতি করেই সম্প্রতি অর্থ উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে।

নিশ্চিত করুন যে নমিনির নাম ও অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্রাহক মারা গেলে নমিনি যাতে সহজেই সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করতে পারে বা মুনাফা উত্তোলন করতে পারে, সে জন্য সঠিক তথ্য থাকা জরুরি।

জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বা নগদায়ন করা যায়। সেক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা কম হতে পারে বা জরিমানা কাটা হতে পারে। 


এ বিষয়ে নিয়ম-কানুন জেনে রাখা প্রতিটি গ্রাহকেরই দায়িত্ব। না জানালে অফিসে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়বেন ও প্রত্যাশা অনুসারে কম টাকা পেলে হতাশা হতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার