Logo
Logo
×

অর্থনীতি

বিএটি বাংলাদেশের সিগারেট বিক্রি কমেছে ২৮%

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম

বিএটি বাংলাদেশের সিগারেট বিক্রি কমেছে ২৮%

বাংলাদেশের বাজারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর (বিএটি) সিগারেট বিক্রি কমছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সিগারেট বিক্রি কমেছে ২৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার বিএটি বাংলাদেশ প্রকাশিত সবশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩ হাজার ৬২৪ কোটি সিগারেটের শলাকা বিক্রি করেছে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ছিল ৫ হাজার ৩১ কোটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট ভোক্তারা সিগারেটের পেছনে খরচ কমাচ্ছেন। এছাড়া দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় অনেক ধূমপায়ী এখন তুলনামূলক কম দামে কালোবাজারে আমদানি করা অন্যান্য সিগারেট কিনছেন।

এতে বিএটি বাংলাদেশের মতো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর বিক্রিতে চাপ পড়েছে। কারণ, তাদের বিক্রয়মূল্যের ৮২ শতাংশের বেশি সরকার সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ নিয়ে নেয়, যেখানে কালোবাজারে এসবের বালাই নেই।

এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কম নিকোটিনযুক্ত সরু বিদেশি সিগারেট ও ই-সিগারেটের দিকেও ঝুঁকছেন অনেক ভোক্তা।

বাংলাদেশ থেকে বিএটির সিগারেট রপ্তানিও কমে গেছে ৬৯ শতাংশ। বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি মাত্র ৪২ কোটি শলাকা সিগারেট রপ্তানি করেছে। আগের বছর একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১৩৬ কোটি শলাকা।

তবে তামাক পাতা রপ্তানি ৮৮ শতাংশ বেড়ে ৪২ লাখ কেজি থেকে ৭৯ লাখ কেজিতে পৌঁছেছে।

এদিকে বিক্রির পরিমাণ কমলেও নয় মাসে বিএটি বাংলাদেশের গ্রস বা মোট রাজস্ব ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকায়। এর কারণ, সরকার আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ২৭ হাজার ১৯৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

মোট রাজস্বের ৮২ শতাংশেরও বেশি সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট হিসেবে চলে যাওয়ায় কোম্পানিটির নিট রাজস্ব কমেছে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে উৎপাদন খরচ ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমিয়ে ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা থেকে ৩ হাজার ২৪৮ কোটি টাকায় নামিয়েছে কোম্পানিটি।

তারপরও কারখানা পর্যায়ে মুনাফা বা গ্রস মুনাফা ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায়, যা আগের বছর ছিল ৩ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

এদিকে পরিচালন ব্যয় ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা। এতে পরিচালন মুনাফা ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকায়। যা এক বছর আগে ছিল ২ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

শ্রমিকদের মুনাফায় অংশগ্রহণ তহবিল ও আয়করের পরিশোধ শেষে নিট মুনাফা ৪৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি টাকায়, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা। নয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৩৪ টাকায়, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ টাকা।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বিএটি বাংলাদেশের শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৫৩ দশমিক ৪ টাকায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার