চা-পানের দোকানে ১ বাতি ও ১ ফ্যানে এক মাসে বিল ৫৫ হাজার ৫৫০
জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ এএম
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে জরাজীর্ণ একটি চা-পানের দোকানে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের চরাঞ্চলের লিটুখান বাজারে দু’জন দোকানি এ অভিযোগ করেন।
তারা জানান, তাদের ওপর অস্বাভাবিক পরিমাণ ‘ভূতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিলের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। সাধারণ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ওই বিল পেয়ে দিশেহারা তারা।
এ ঘটনায় বাজারজুড়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। চা-পানের দোকানদার বাদশা বেপারী জানান, ঘর ভাড়া নিয়ে চা-পান ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা করেন তিনি। দোকানে শুধু একটি বাতি ও একটি ফ্যান চলে। আগে মাসে সর্বোচ্চ ২শ থেকে ৩শ টাকা বিল আসত। কিন্তু চলতি মাসে তার হাতে বিদ্যুৎ বিলের কপি তুলে দেওয়া হয়েছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার।
তিনি আরও জানান, দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের কোনো সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলেছে।
একই বাজারে ছোট খাবারের দোকানের মালিক শহীদ খানও পড়েছেন একই দুর্ভোগে। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত তার বিদ্যুৎ বিল ৬শ থেকে ৮শ টাকার মধ্যে থাকে অথচ এ মাসে তার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা।
শহীদ জানান ভূতুড়ে বিল ধরিয়ে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। অহন ফোন করলে বলে অফিসে আহেন। এমন করলে তো দোকানটাই বন্ধ করে দিতে হইব।
টঙ্গীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসার (ডিজিএম) আব্দুস ছালাম জানান মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা বিষয়টি সরেজমিন দেখে সমাধান করার পদক্ষেপ নেব।