Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘হরে কৃষ্ণ হরি বোল, দাঁড়িপাল্লা টাইনে তোল’

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৫ এএম

‘হরে কৃষ্ণ হরি বোল, দাঁড়িপাল্লা টাইনে তোল’

'হরে কৃষ্ণ হরি বোল, দাঁড়িপাল্লা টাইনে তোল'-স্লোগান দিয়ে খুলনা-১ আসনে ভোটের মাঠ গরম করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বটিয়াঘাটা এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।

কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতে ইসলামীর ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি। সম্প্রতি দলটির পক্ষ থেকে তাকে এই আসনে নতুন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রার্থী ঘোষণার পরপরই তার এই স্লোগান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ধর্মীয় আবহমান চেতনা আর জামায়াতের রাজনৈতিক প্রতীক 'দাঁড়িপাল্লা'কে মিলিয়ে তৈরি করা এই স্লোগান নিয়ে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ভোটারদের অনেকে বলছেন, কৃষ্ণ নন্দীর এই স্লোগান এলাকার হিন্দু ভোটারদের মধ্যে ধর্মীয় আবেগ তৈরি করছে এবং প্রচারণায় নতুনত্ব এনেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, জামায়াতের প্রার্থী হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন নেতার এমন স্লোগান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যেও এ নিয়ে চলছে নানান হিসাব-নিকাশ। কেউ এটিকে 'কৌশলী প্রচারণা' বলছেন আবার কেউ ভোটারকে প্রভাবিত করতে ধর্মীয় উপাদান ব্যবহারের সমালোচনা করছেন।

ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। তবে বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে প্রচারণার সুবিধার্থে তিনি এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। 

খুলনা-১ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের 'ঘাঁটি' হিসেবে পরিচিত। এই আসনে সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রভাব বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে সংখ্যালঘু প্রার্থীরাই এখানে জয়লাভ করে আসছেন। ১৯৭৩ সালে কুবের চন্দ্র বিশ্বাস, পরবর্তীতে প্রফুল্ল কুমার শীল, পঞ্চানন বিশ্বাস এবং ননী গোপাল মণ্ডল এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া বিএনপি কখনোই এই আসনে জিততে পারেনি। একসময় বাম দলের প্রভাব থাকলেও জামায়াতের অবস্থান এখানে সবসময় দুর্বল ছিল। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার