Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে মানুষ

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৭ এএম

হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে মানুষ

লোহাগাড়ায় অবৈধভাবে চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে ২৭টি ডেন্টাল কেয়ার। এর মধ্যে ৪-৫টিতে বিডিএস পাশ করা ডাক্তারসহ বৈধ কাগজপত্র থাকলেও বাকিগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই বলে জানা গেছে। এসব হাতুড়ে ডাক্তারের ভূতুড়ে চিকিৎসায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। ভুয়া ডাক্তারদের চিকিৎসায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হলেও স্বাস্থ্য প্রশাসন কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পদুয়া বাজারে সবচেয়ে বেশি ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের উভয়পাশে ১৪টি ডেন্টাল কেয়ার সাইনবোর্ড লাগিয়ে কোনো ডিগ্রি না থাকাসত্ত্বেও চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকেই নামের আগে লেখেন ডেন্টিস্ট। 

তৌহিদুল ইসলাম একাই সামলান কাইফা ডেন্টাল, তাহরীম ডেন্টাল ও মোস্তফা ডেন্টাল নামে পাশাপাশি তিনটি চেম্বার। পদুয়া বাজারে আরো ডজন খানেক চেম্বার আছে। 

এগুলো হচ্ছে শফিকুল ইসলামের সাফা ডেন্টাল, আব্দুল কাদেরের আইডিয়াল ডেন্টাল, এইচএম দেলোয়ারের জননী ডেন্টাল, নাছির উদ্দীনের নাছির ডেন্টাল, আবু তাহেরের মা ডেন্টাল, রেজাউল করিমের লাইফ ডেন্টাল, নাছির উদ্দীনের পদুয়া ডেন্টাল, মাহবুবুর রহমানের মোজাহেরিয়া ডেন্টাল, শাহ আলমের মডার্ন ডেন্টাল। তাছাড়া লোহাগাড়া বটতলী স্টেশনে রয়েছে স্মাইল প্লিজ, রাফিয়া ডেন্টাল, আলী ডেন্টাল, বদিউল আলম রানার নিউ মা ডেন্টাল, দরবেশহাট রোড়ে জাহাঙ্গীর আলমের মা ডেন্টাল, আব্দুল্লাহ ডেন্টাল, রিমন বড়ুয়ার রিমন ডেন্টাল, রিদোয়ান ডেন্টাল, নুরুল কবির হেলালীর হেলালী ডেন্টাল ও চুনতি ডেপুটি বাজারে আধুনিক ও আলিফ ডেন্টাল প্রভৃতি।

জানতে চাইলে মোজাহেরিয়া ডেন্টালের মালিক মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার কোন ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ নেই, আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। প্রাথমিক চিকিৎসা মানে কেমন চিকিৎসা তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় জনগণের সঙ্গে বছরের পর বছর প্রতারণা করে ব্যবসা চালিয়ে এলেও কোনো অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ করতে পারছে না প্রশাসন। 

ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকার বাইরের অবৈধ ডেন্টাল কেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে অবৈধ, ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার