কুমিল্লায় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুস ও দুর্নীতির অভিযোগ
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০২ এএম
কুমিল্লায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ঠিকাদাররা। এ ঘটনায় ওই প্রকৌশলীকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, ঘুস না দিলে চলমান বিভিন্ন রাস্তা ও ব্রিজের কাজের বিল আটকে রাখেন আব্দুল মতিন। ফলে অনেক কাজ মাঝপথে থেমে থাকার কারণে সাধারণ মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক ব্রিজের জমি কুমিল্লা এলজিইডি থেকে অধিগ্রহণ না করায় ঠিকাদার কিছু অংশ কাজ করার পর বন্ধ হয়ে আছে। অনেক কাজের মেয়াদকালও শেষ হয়ে গেছে। তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুস না দেওয়ায় এসব কাজের মেয়াদ বাড়ছে না, জমিও অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না। এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে, একইসঙ্গে ঠিকাদাররাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মাইনুদ্দিন বাঁশি লিমিটেড ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার নাঈমুর ইসলাম জানান, ঘুস না দেওয়ার কারণে সিআইবিআরআর প্রকল্পের আওতায় দাউদকান্দি উপজেলার বাতাকান্দি থেকে মোহনপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৫৭০ মিটার লম্বা পিএসসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজের সময় বৃদ্ধি করছে না কর্তৃপক্ষ। জমি অধিগ্রহণ না করার কারণে আমরা সঠিক সময়ে কাজ করতে পারি নাই। এছাড়া ব্রিজের ডিজাইন ত্রুটিপূর্ণ ছিল।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর বাবুরবাড়ী এলাকায় সিসিবি প্রকল্পের আওতায় ২৭ মিটার লম্বা গার্ডার ব্রিজের প্রথম চলতি বিল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স শশী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার কামাল হোসেন জানান, ঘুস না দেওয়ায় আমাদের প্রথম চলতি বিল এক কোটি চার লাখ টাকা প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রেখেছে। আমরা খুব ভোগান্তির মধ্যে আছি।
তারা বলেন, কুমিল্লা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী রায়হান এবং ল্যাব ইনচার্জ আকরাম ঠিকাদারদের জিম্মি করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের ঘুস দিলে সিলিন্ডার টেস্টে টিকবে, ইট পাথর বালির গুণগতমান শতভাগ হবে। ঘুস না দিলে সব বিফলে যাবে। এছাড়া একাউন্টেন্ট আবু কাউসার নির্বাহী প্রকৌশলীর সকল ঘুষ লেনদেন করেন। তাকে ম্যানেজ না করলে ঠিকাদাররা বিল নিতে পারে না। এভাবে অসংখ্য ঠিকাদারকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।