সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার পর পদ্মায় ফেললো বিএসএফ
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে আন্তর্জাতিক পিলার ৭৬ থেকে ৭৭ নম্বরের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি বিজিবি স্বীকার না করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দাবি, তাদের পিটিয়ে মেরে পদ্মায় ফেলে দিয়েছে বিএসএফ।
একই সঙ্গে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পালিয়ে ফিরে আসা দুইজনের বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিক উদ্দিন দুজনকে পিটিয়ে মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের গাইপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম রিংকু ও পাঁকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে মমিন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত ২টার দিকে বাংলাদেশের ওয়াহেদপুর বিওপির পাশ দিয়ে সীমান্তে গরু আনতে যান ৪/৫ জনের একটি দল। এসময় ভারতের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা মমিন ও রিংকুকে পিটিয়ে হত্যা করে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে বাকিরা পালিয়ে আসে।
তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন, আটক দুইজনকে বেধড়ক পিটিয়ে মেরে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়েছে ভারতের নিমতিতা ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের বাড়িতে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া হলে পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের সন্তানরা কোথায় আছে তা জানাতে সম্মত হয়নি। তবে তারা বাড়ি ফেরেনি। মমিনের দুই প্রতিবেশী নাম না প্রকাশ করার শর্তে তাদের ভারতীয় স্বজনের বরাত দিয়ে জানান, তাদের পিটিয়ে মেরে পদ্মায় মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনি হয়রানির ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা এখনোকিছু জানায়নি এবং নিহত পরিবারের সদস্যরা আমাদেরকে এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলেও জানান বিজিবি অধিনায়ক।