‘চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই’
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির-(এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি জনতা সবাই এটার মালিক। অত্যন্ত স্বচ্ছাতার সঙ্গে আমরা এই সম্পদ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়া এই সম্পদ ইজারা দেওয়া হয়েছে। বন্দর ইজারা দেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে গণতান্ত্রিক কৃষকদলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ড. ইউনূস তার পকেটের লোকজন নিয়ে একটি বিশেষ দেশকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমতায় বসেছেন। কিন্তু এদেশের মানুষ তার এই দুরভিসন্ধির কথা জানতো না। ইতোমধ্যে তিনি তার কিছু কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি এই দেশ ও জাতিকে ভালোবাসেন না। ক্ষমতার মসনদে বসে যদি কেউ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করে তাহলে দেশের মানুষ তাকে ক্ষমা করবে না।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে যদি কোনো কাজ করতে হয় তাহলে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেই কাজের অগ্রগতি করতে হয়। কিন্তু তিনি আমাদের দেশের মূল্যবান স্থাপনা আজকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লুকিয়ে লুকিয়ে ইজারা দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৫ মাসে সফলতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা নানা ভাবে দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।
এলডিপি মহাসচিব বলেন, তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ফোন, গ্রামীণ ব্যাংক এই প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকা সুদ তিনি মওকুফ করে নিয়েছেন। এই কাজও তিনি করতে পারেন না। নির্বাহী আদেশে তিনি নানা অপরাধ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার যেমন অপরাধের জন্য আদালতে বিচার হয়েছে আমার মনে হয় ড. ইউনূস যে সমস্ত অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য বাংলার মাটিতে তারও বিচার হবে।
আগামী নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে আমরা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলেই এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারব বলে মনে করি।
গণতান্ত্রিক কৃষকদল আহবায়ক মো. মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- উপজেলা এলডিপি সভাপতি একেএম সামছুল হক, কেন্দ্রীয় এলডিপি উপদেষ্টা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন।
সম্মেলনে মো. মোরশেদ আলমকে সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭১ সদস্য সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা গণতান্ত্রিক কৃষকদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।