গর্ভের সন্তান নিয়ে সন্দেহ, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৮ এএম
গর্ভের সন্তান নিজের নয় এমন সন্দেহে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী জহিরুল ইসলাম (২৮)। এ ঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার আগে চাঁদপুরে হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের রাঢ়ীকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের রাঢ়ী কান্দিতে বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কাকলি বেগমকে (২০) নৃশংসভাবে হত্যা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা জহিরুলকে আটক করে।
জনতার হাতে আটকের পর এক ভিডিওতে জহিরুল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জানান, তার ধারণা ছিল স্ত্রীর গর্ভের সাত মাসের সন্তানটি তার নয়। কাকলি বেগম বিভিন্নভাবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং পরপুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করতেন বলে দাবি করেন তিনি।
জহিরুল আরও বলেন, আমি তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারিনি। অনৈতিক সম্পর্কের কারণে সাংসারিকভাবে অশান্তিতে ছিলাম। তাই তাকে ধানক্ষেতের পাশে নিয়ে হাত-পা বেঁধে হত্যা করি।
অন্যদিকে খুনের খবর পেয়ে নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির শিকদার দ্রুত ঈশানবালা বাহেরচর পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করেন। খবর পেয়ে ঈশানবালা বাহেরচর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে আটক করেন। পরে পুলিশ ধানক্ষেত থেকে নিহত কাকলি বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তবে চাঁদপুর জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন। বর্তমানে আইনানুগ ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নিহত কাকলি বেগমের পরিবার জহিরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। এদিকে, এই নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মেঘনার দুর্গমচর নীলকমল এলাকাজুড়ে নিহতের স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।