দেশের ৪০ শতাংশ মাছের চাহিদা পূরণ করছে রাজশাহী: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৩ এএম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ময়মনসিংহে বেশি মাছ চাষ হলেও রাজশাহীর অবদানও কম নয়। রাজশাহী থেকে সারা দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মৎস্য অনুষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৎস্য সম্মেলন ও প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন দুইভাবে হয়ে থাকে। একদিকে নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাঁওড় থেকে মাছ আসে। অপরদিকে চাষের মাধ্যমে মাছ আসে। দুটো পদ্ধতিই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাকুয়াকালচার মাধ্যমে মৎস্য চাষে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী দামে মাছ খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মানে এই নয় যে, আমরা প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ ধরব না, খাব না।
তিনি বলেন, মাছ রপ্তানি হতেই হবে। যেসব দেশে মাছ রপ্তানি করবেন, সেসব দেশেও বাঙালি আছে। আপনার মাছটি তারাই খাবে। প্রবাসীরা কষ্ট করে আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায় অথচ তারা যদি মাছ না পায় সেটা দুঃখজনক ব্যাপার। আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানির সুযোগ অবশ্যই তৈরি করতে হবে। এসময় তিনি কার্পজাতীয় মাছের রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন ও সামিট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। রাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মৎসচাষি এবং সাংবাদিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।