ডিবি হেফাজত থেকে হাসপাতালে, ২০ মিনিট পর আসামির মৃত্যু
জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলাম হত্যার সন্দেহভাজন আসামি শাহাদত হোসেন (৪৫) জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টায় তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ভর্তির মাত্র ২০ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়।
তবে পরিবারের অভিযোগ, ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণেই শাহাদতের মৃত্যু হয়েছে।
শাহাদত হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর গ্রামের মৃত খলিল হোসেনের ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালিয়েছেন। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে একই পেশায় জড়িত ছিলেন।
শাহাদতের ভাই জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণে আমার ভাই শাহাদত হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷মৃত্যুর আগে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসাইনসহ আরও কয়েকজন পাঁচ লাখ টাকাও চেয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।
তবে এ বিষয়ে শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। যদিও শাহাদত হোসেনকে কবে, কখন, কোথা থেকে ধরে আনা হয়েছে, কতদিন হেফাজতে ছিলেন, কোন পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে নিতে হলো। মৃত্যুর একদিন পরও এসব বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ডিবি।
অন্যদিকে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্নের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হেমাদ্রি শেখর সাহা বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া কোনো মৃত্যুর নিদিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে মারধরের ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এ মৃত্যু হতে পারে বলে তার ধারণা।
এ বিষয়ে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসাইনের বক্তব্য জানতে সকাল থেকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, গত ১২ নভেম্বর সকালে চৌকিদহ ব্রিজের নিচ থেকে আমিনুল ইসলাম নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ওইদিনই নিহতের স্বজরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যার রহস্য উন্মোচনে ডিবি পুলিশই মামলাটি নিয়ে কাজ করছেন।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মাহবুবুর রহমান বলছেন, আমিনুল ইসলামের অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে ওই স্থানে দুর্বৃত্তরা মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের পরিবার ওইদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন শাহাদত হোসেন। তাকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার ব্যাটারিসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। মূলত তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। পরে ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
প্রসঙ্গত গত ১২ নভেম্বর বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চৌকিদহ ব্রিজের নিচ থেকে আমিনুল ইসলাম (৩৬) নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সন্দেহভাজন আসামি শাহাদত হোসেনকে (৪৫) ছিনতাই অটোরিকশার ব্যাটারিসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেয় তারা।
তবে পরিবারের অভিযোগ, ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণেই শাহাদতের মৃত্যু হয়েছে।
শাহাদত হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর গ্রামের মৃত খলিল হোসেনের ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালিয়েছেন। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে একই পেশায় জড়িত ছিলেন।
শাহাদতের ভাই জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের কারণে আমার ভাই শাহাদত হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷মৃত্যুর আগে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসাইনসহ আরও কয়েকজন পাঁচ লাখ টাকাও চেয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।
তবে এ বিষয়ে শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। যদিও শাহাদত হোসেনকে কবে, কখন, কোথা থেকে ধরে আনা হয়েছে, কতদিন হেফাজতে ছিলেন, কোন পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে নিতে হলো। মৃত্যুর একদিন পরও এসব বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ডিবি।
অন্যদিকে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্নের সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হেমাদ্রি শেখর সাহা বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া কোনো মৃত্যুর নিদিষ্ট কারণ বলা কঠিন। তবে মারধরের ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এ মৃত্যু হতে পারে বলে তার ধারণা।
এ বিষয়ে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসাইনের বক্তব্য জানতে সকাল থেকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো সাড়া মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, গত ১২ নভেম্বর সকালে চৌকিদহ ব্রিজের নিচ থেকে আমিনুল ইসলাম নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ওইদিনই নিহতের স্বজরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যার রহস্য উন্মোচনে ডিবি পুলিশই মামলাটি নিয়ে কাজ করছেন।
তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মাহবুবুর রহমান বলছেন, আমিনুল ইসলামের অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে ওই স্থানে দুর্বৃত্তরা মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে নিহতের পরিবার ওইদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন শাহাদত হোসেন। তাকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশার ব্যাটারিসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। মূলত তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। পরে ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
প্রসঙ্গত গত ১২ নভেম্বর বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চৌকিদহ ব্রিজের নিচ থেকে আমিনুল ইসলাম (৩৬) নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সন্দেহভাজন আসামি শাহাদত হোসেনকে (৪৫) ছিনতাই অটোরিকশার ব্যাটারিসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেয় তারা।