রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলেকে হত্যা ও তার স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার লিমন মিয়া (৩৪) পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কিভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। 

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

সাধারণ একটি প্রাইভেটকারে চড়ে পুলিশ কমিশনার সাদা পোশাকে আদালতে এসেছিলেন। আদালতের কঠগড়ায় ছিলেন প্রায় ১৫ মিনিট। এ সময় তার আইনজীবী জমসেদ আলী আদালতকে লিখিতভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এবং পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে করা বিবিধ মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়ার আবেদন জানান। এ সময় আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেওয়ার জন্য রাখেন।

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখ ১ ডিসেম্বর। পুলিশ কমিশনারের আবেদনের ব্যাপারে আদালত সেদিন আদেশ দিতে পারেন।

আইনজীবী আরও জানান, পুলিশ কমিশনার তার ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, আসামি লিমন মিয়াকে হাসপাতালে গ্রেফতারের পর সেখানে অনেক মানুষেরই ভিড় ছিল। সে সুযোগে লিমন মিয়া ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ইতোমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতকে জানান আরএমপি কমিশনার।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহীতে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা করা হয়। জখম করা হয় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকেও (৪৪)। ঘটনার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হাসপাতালে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

সেখানে থাকা অবস্থায় লিমন ভিকটিমকে দোষারোপ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। এর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আদালতের নজরে আসে। এ নিয়ে একটি বিবিধ মামলা করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে তলব করেন আদালত।