সৌদি আবাসন প্রকল্পের নামে প্রতারণার অভিযোগ: সর্বস্ব হারিয়ে বিপর্যস্ত ব্যবসায়ী
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ এএম
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিষ্ণুদি এলাকার সফল ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পের আশ্বাসে বিশ্বাস করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তার দাবি—সৌদি ভিত্তিক ‘এসএফডি' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেওয়া ইসমাইল নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি ধাপে ধাপে কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনে সম্পৃক্ত হন এবং শেষ পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট মুছে ফেলে ইসমাইলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিনি অভিযোগ করেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, তিনি এলাকায় ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম, শেখ গার্মেন্টসসহ একাধিক সফল ব্যবসা পরিচালনা করতেন। প্রায় এক বছর আগে ইসমাইল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, যিনি তাকে ‘এসএফডি’ এর সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলে প্রথমে ৩,০০০ রিয়েল প্রদান করেন, যা দিয়ে তিনি এলাকার গরিবদের মাঝে নিয়মিতভাবে ৭১ বস্তা চাল বিতরণ করেন এবং সাতটি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের বেতন চালু করেন।
পরবর্তীতে ইসমাইল তাকে অর্ধ-অর্থায়নে আবাসন প্রকল্পের প্রস্তাব দেন। এলাকাবাসীর আস্থায় প্রথমে ১০টি ঘরের জন্য ৩৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরপর আরও ১০০ ঘরের জন্য ধাপে ধাপে অগ্রিম টাকা পাঠানো হয় এবং সেগুলোর কাজও শেষ হয়।
তিনি বলেন, এলাকায় চাহিদা আরও বাড়ায় মিজানুর রহমান মোট ১৫০টি ঘরের অর্থ সংগ্রহ করেন এবং ইসমাইলকে জানান। তার অভিযোগ—এর মধ্যেই ইসমাইল তার ফোনের পূর্ণ অ্যাক্সেস নিয়ে ‘এসএফডি’র সফটওয়্যার দেওয়ার কথা বলে সব ধরনের চ্যাট, রসিদ ও ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেয়। এরপর থেকে ইসমাইল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মিজানুর রহমান নিজস্ব সম্পত্তি, ব্যবসার মালামাল, জমিজমা বিক্রি করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণভাবে সর্বস্বান্ত।
সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মানুষের কাছে দেওয়া কথা রাখতে গিয়ে নিজের সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। এখন আর পারছি না… আমাকে বাঁচান।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।