একজন দেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্যাডার, অন্যজন গণিতে সেরা
৪৯তম বিসিএসে সুনামগঞ্জের তরুণ-তরুণীর বাজিমাত
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় বইছে উৎসবের আমেজ। ৪৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে উপজেলার দুই মেধাবী তরুণ-তরুণী বাজিমাত করেছেন। একজন হয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্যাডার, আরেকজন গণিত ক্যাডারে সারাদেশে অর্জন করেছেন প্রথম স্থান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার এবার দেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন। অনার্সের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি নজির স্থাপন করেছেন।
খাদিজা মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর গ্রামের মরহুম আব্দুল আজিজ ও হাজেরা বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা। স্থানীয় মধ্যনগর বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে খাদিজা আক্তার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এই অর্জন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমার এই সাফল্যের পেছনে ছিল মায়ের দোয়া। আজকের এই আনন্দঘন সময়ে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে বাবাকে। আমার মা, ভাই, শিক্ষক ও বন্ধুদের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। আমি আমাদের পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এজন্য সবার দোয়া চাই।
খাদিজার প্রাক্তন গৃহশিক্ষক মো. রাশিদ আলম বলেন, আমি তাকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়েছি। খাদিজা ছিল অত্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই তার পড়ালেখার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। সে আমাদের মধ্যনগরের গর্ব। তার এই সাফল্যে আমরা সবাই আনন্দিত ও গর্বিত।
প্রতিবেশী ও খাদিজার ফুফা মজিবুর রহমান বলেন, খাদিজা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পরিশ্রমী ও বিনয়ী মেয়ে। গ্রামের সবাই তার এই সাফল্যে খুব খুশি। আমরা বিশ্বাস করি, সে একদিন বড় কিছু করবে এবং এলাকার সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।
অন্যদিকে, গণিত ক্যাডারে সারাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মধ্যনগরেরই আরেক কৃতি শিক্ষার্থী মো. অলি উল্লাহ। তিনি উপজেলার বংশীকুন্ডা গ্রামের মো. আব্দুল হেকিম ও হাজেরা খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে।
বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ভর্তি হন ও একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করেন।
দুই তরুণের এই সাফল্যে পুরো মধ্যনগরজুড়ে বইছে আনন্দের ঢেউ। শুভাকাঙ্ক্ষী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন বার্তা ও শুভেচ্ছায় ভাসছে মধ্যনগর।