গ্রামীণ নামে যা যা বানাইছেন সবকিছুর বিপদ আছে: কাদের সিদ্দিকী
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৮ এএম
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ইউনূস সাহেব আপনাকে অনেক বড় মানুষ মনে করেছিলাম, শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলতো আমি আপনার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন আপনার পাশে যদি না দাঁড়াতাম তাহলে আপনার গ্রামীণ ব্যাংক মাটির সঙ্গে মিশে যেত। মনে রাখবেন, আপনি খোদার ঘর বাইন্ধা আসেন নাই, আপনার গ্রামীণ ব্যাংক না শুধু গ্রামীণ নামে যা যা বানাইছেন সবকিছুর বিপদ আছে। আপনি যে কত কাঁদবেন চৌদ্দ কলস কাঁদলেও আপনার কান্না শেষ হবে না।
সোমবার বিকেলে সখীপুর উপজেলার ২ নং বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনি বাংলার মানুষকে চিনেন না, এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা নয়। তাই বলছি যদি একটা নিরপেক্ষ ও সন্তোষজনক, মানুষের ইচ্ছামতো নির্বাচন করতে পারেন তাহলে এত কিছুর পরও আপনার নাম থাকবে, মানুষ সম্মান করবে। আর যদি মীর জাফর হতে চান, ঘষেটি বেগম হতে চান তাহলে যা করতেছেন- করেন।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, শেখ হাসিনা যেমন মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই, এ সরকারও তেমনি আমাদের ভোট দিতে দেয় না, ভোট দিতে দেবে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, মওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের মানুষের আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের ভোটাররা যদি ভোট দিতে না পারে আমি গামছা নিয়া সে নির্বাচন করতে যাব না। যদি জাতীয় পার্টির লাঙ্গলকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয় আমি নির্বাচনে যাব না। ১৪ দল, তারা যদি নির্বাচনে যেতে না পারে তাহলে আমাদের নির্বাচনের যাওয়া দরকার কী?
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন- আমি আওয়ামী লীগ করিনা, আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না, আমি বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করি, মুক্তিযুদ্ধ করি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাই, আমি জয় বাংলা বলি, জয় বাংলা বলা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমাকে প্রথম গ্রেফতার করেন। আমি জয়বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, জয় বাংলা বলেই আমি আমার জীবন দিতে চাই। আমার ধ্যান-আমার চেতনা আমার চৈতন্য বঙ্গবন্ধু, এখান থেকে আমাকে কেউ সরাতে পারবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু
কালিহাতি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তিতাস সিদ্দিকী, বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হাসান টিপু, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, আলমগীর সিদ্দিকী, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।