বিএনপিতে ফেরার গুঞ্জন, যা বললেন শাহ্ আবু জাফর
জাগো বাংলা ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি।ফলে এ আসনটিতে কে বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন সেটি এখন স্থানীয়দের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই আসনে অন্তত দুজন বিএনপি নেতা মনোনয়নের শক্ত দাবিদার। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা আছে যে, কিংস পার্টির একজন নেতা বিএনপিতে ফিরে ধানের শীষ পেতে পারেন।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ফরিদপুর-১ আসনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর বিএনপির মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি পুনরায় বিএনপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি বহিষ্কারের আগে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে ছিলেন।
দ্বাদশ নির্বাচনের আগে কিংস পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন ফরিদপুরের এই আলোচিত রাজনীতিক।তিনি নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। পরে বিএনপি তাকে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে। এলাকায় তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তিনি দ্বাদশ নির্বাচনে জামানত হারান। ৮ ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি।তিনি মাত্র ২২ হাজার ৪৬৫টি ভোট পেয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার দল পরিবর্তনের পর এবার আবু জাফর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে শেষবারের মতো ধানের শীষের পতাকাতলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ফরিদপুর-১ আসনে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মেীদের একাংশও তার প্রত্যাবর্তনের খবরে আশাবাদী।
তবে এ বিষয়ে সাবেক বিএনপি নেতা ও বর্তমান বিএনএম নেতা শাহ্ আবু জাফর যুগান্তরকে বলেন, এ আসনের মনোনয়ন স্থগিত রয়েছে। তবে গুঞ্জনের বিষয়টি আমিও শুনেছি। দেখা যাক কী হয়। এখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া কেউ এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপিতে ফিরে এলেই কি মনোনয়ন পাওয়া যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা আছে? বিষয়টি শুধু তারেক রহমান জানেন। দেখা যাক কী হয়।
বিএনপি এবার এলাকায় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দিচ্ছে। শাহ জাফর এই এলাকার চারবারের সাবেক এমপি। তিনি ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগ, ৮৬ সালে জাতীয় পার্টি, ৮৮ সালে অপর একটি দল ও সর্বশেষ ২০০৫ সালে উপ-নির্বাচনে বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন।