বিএনপির ‘চাঁদাবাজ’ প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার ঘোষণা রিটা রহমানের
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর ও আংশিক সিটি) আসনে বিএনপির ‘চাঁদাবাজ প্রার্থীর’ পক্ষে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন মনোনয়নবঞ্চিত রিটা রহমান।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর রাধাবল্লভের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে মনোনয়নবঞ্চিত রিটা রহমানের পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি টাউন হল চত্বর থেকে বের হয়ে নগরীর সিটি বাজার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিটা রহমান বলেন, “আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি তার পক্ষে কাজ করবো। কিন্তু আমি যদি দেখি যে কোনো চাঁদাবাজ, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, যাকে শহরের লোকেরা ‘চাঁদাবাজ’, ‘জমি দখলদার’ হিসেবে জানে—এমন কাউকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি কীভাবে তার পক্ষে কাজ করবো? আমি মানুষের কাছে গিয়ে কি বলবো যে, এরকম একজন মানুষকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যে আমার থেকে যোগ্য না। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসছি, এটা কি আমি বলবো?”
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো, মনোনয়নের ব্যাপারটা পুনরায় বিবেচনায় নিতে। কেননা এখনো সুযোগ রয়েছে। যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে সম্ভাব্য তালিকা। এখনো পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।’
রিটা রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলের মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদুমিয়ার কন্যা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৩ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জয়লাভ করেন।
এরশাদের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের (পিপিবি) সভাপতি রিটা রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় নিজেদের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ধানের শীষ প্রতীকে ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদের কাছে পরাজিত হন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। তিনি বুধবার বিকেলে নগরীর শাপলা চত্বর, চামড়াপট্টি, এরশাদ মোড় ও কামারপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিটা রহমানের অভিযোগ প্রসঙ্গে সামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘রংপুরের মাটি ও মানুষ বলবে আমি ভালো না মন্দ, আমি খারাপ না ভালো। রংপুরের মানুষ আমার মূল্যায়ন করবে ইনশাআল্লাহ সামনের ইলেকশনে। রংপুরের মানুষ তো আমাকে চেনে। যদি কোনো ক্রটি পেয়ে থাকে, আমাকে বললে আমি সেই ত্রুটিমুক্ত হবো। কিন্তু আমি জানি রংপুরের মানুষের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করিনি। আমি দলের কোনো নেতাকর্মীর ক্ষতি করিনি। আমি দলের যত দায়িত্ব তা সততার সঙ্গে পালন করেছি। রংপুরের মানুষ আমার দ্বারা কোনো রকমের কোনো দিন হয়রানির শিকার হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি (রিটা রহমান) রংপুরে থাকেন না। উনি বাইরে থাকেন, এটা রংপুরের সব মানুষই জানেন। অতত্রব, আমার বিরুদ্ধে বাইরের কোনো মানুষ যদি অভিযোগ করেন, আমি মনে করি সেটার কোনো সত্যতা নেই, সেটা অসত্য। আমি বলবো না মিথ্যা, বরং মানুষই বলবে মিথ্যা।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর রাধাবল্লভের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে মনোনয়নবঞ্চিত রিটা রহমানের পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি টাউন হল চত্বর থেকে বের হয়ে নগরীর সিটি বাজার পর্যন্ত প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় টাউন হল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিটা রহমান বলেন, “আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি তার পক্ষে কাজ করবো। কিন্তু আমি যদি দেখি যে কোনো চাঁদাবাজ, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, যাকে শহরের লোকেরা ‘চাঁদাবাজ’, ‘জমি দখলদার’ হিসেবে জানে—এমন কাউকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি কীভাবে তার পক্ষে কাজ করবো? আমি মানুষের কাছে গিয়ে কি বলবো যে, এরকম একজন মানুষকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যে আমার থেকে যোগ্য না। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসছি, এটা কি আমি বলবো?”
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো, মনোনয়নের ব্যাপারটা পুনরায় বিবেচনায় নিতে। কেননা এখনো সুযোগ রয়েছে। যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে সম্ভাব্য তালিকা। এখনো পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।’
রিটা রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলের মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদুমিয়ার কন্যা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৩ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জয়লাভ করেন।
এরশাদের মৃত্যুর পর ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের (পিপিবি) সভাপতি রিটা রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় নিজেদের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ধানের শীষ প্রতীকে ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদের কাছে পরাজিত হন।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। তিনি বুধবার বিকেলে নগরীর শাপলা চত্বর, চামড়াপট্টি, এরশাদ মোড় ও কামারপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিটা রহমানের অভিযোগ প্রসঙ্গে সামসুজ্জামান সামু বলেন, ‘রংপুরের মাটি ও মানুষ বলবে আমি ভালো না মন্দ, আমি খারাপ না ভালো। রংপুরের মানুষ আমার মূল্যায়ন করবে ইনশাআল্লাহ সামনের ইলেকশনে। রংপুরের মানুষ তো আমাকে চেনে। যদি কোনো ক্রটি পেয়ে থাকে, আমাকে বললে আমি সেই ত্রুটিমুক্ত হবো। কিন্তু আমি জানি রংপুরের মানুষের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করিনি। আমি দলের কোনো নেতাকর্মীর ক্ষতি করিনি। আমি দলের যত দায়িত্ব তা সততার সঙ্গে পালন করেছি। রংপুরের মানুষ আমার দ্বারা কোনো রকমের কোনো দিন হয়রানির শিকার হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি (রিটা রহমান) রংপুরে থাকেন না। উনি বাইরে থাকেন, এটা রংপুরের সব মানুষই জানেন। অতত্রব, আমার বিরুদ্ধে বাইরের কোনো মানুষ যদি অভিযোগ করেন, আমি মনে করি সেটার কোনো সত্যতা নেই, সেটা অসত্য। আমি বলবো না মিথ্যা, বরং মানুষই বলবে মিথ্যা।’